চীনা স্পন্সর বাতিল নিয়ে ‘চুপ’ বিসিসিআই

 

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :

লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনার মধ্যে দেশজুড়ে চীনা দ্রব্য বয়কটের ডাক উঠেছে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ৫৯টি চীনা অ্যাপ বাতিল করে দিয়েছে সরকারও। যার জেরে বেশ সমস্যায় পড়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। কারণ আইপিএলের একাধিক স্পনসর হয় চীনা, নাহয় চীন এবং ভারতের যৌথ অংশীদারদের মালিকানাধীন। দাবি উঠছে, বিসিসিআইকে সমস্ত চীনা স্পনসরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। বোর্ডের অবশ্য এ বিষয়ে এখনও মুখে কুলুপ।

প্রথমে বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, আইপিএল কর্তৃপক্ষ রিভিউ মিটিং করে চীনা স্পনসর বাতিল করার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। স্পনসর বাতিল করা নিয়ে এই রিভিউ মিটিং হওয়ার কথা ছিল গত শুক্রবার। সেদিন তো বৈঠক হয়ইনি, এখনও ওই বৈঠকের পরবর্তী দিনক্ষণ পর্যন্ত জানাতে পারেনি বোর্ড। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলছেন, ‘এখনও পর্যন্ত আইপিএলের রিভিউ মিটিংয়ের কোনও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। আসলে ওই বৈঠকের আগে আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে ভাবতে হচ্ছে বোর্ডকে। সবকিছু মিটলে সময় করে আইপিএলের রিভিউ মিটিং ডাকা হবে।’ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ‘ভিভো’, ‘আলিবাবা’, ‘পেটিএম’-সহ সমস্ত চীনা সংস্থারই ভাগ্য নতুন করে নির্ধারণ হওয়ার কথা ছিল! ভারতীয় বোর্ডের ‘সোনার হরিণ’ আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ‘ভিভো’। যা কিনা চীনা মোবাইল সংস্থা। এছাড়াও খুচখাচ কিছু চীনা সংস্থা ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সঙ্গে জড়িত। ভারতীয় দলের পূর্বতন স্পনসর ছিল ‘অপ্পো’। যা চীনা সংস্থা। বর্তমানে ‘বাইজু’, তাতেও শোনা যাচ্ছে চিনের অংশ আছে।  কিন্তু এদের ভাগ্য নির্ধারণের বৈঠক কবে হবে, তা নিয়ে এখনও কিছু জানাতেই পারল না বোর্ড।

এদিকে চীনা স্পনসর বাতিলের দাবি ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। এতদিন বাইরের লোক দাবি তুলছিল। এবার টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্তরাও আওয়াজ তুলছে। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অন্যতম কর্ণধার নেস ওয়াদিয়া বলছেন, ‘আমাদের দেশের জন্য ধীরে ধীরে চীনা স্পনসরদের বাতিল করতে হবে। দেশ সবার আগে। বাকি সব পরে। আর এটা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, চীনা প্রিমিয়ার লিগ নয়। তাই এটাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা উচিত।’ ওয়াদিয়া মেনে নিচ্ছেন, চীনাদের সরিয়ে দিলে আর্থিকভাবে ধাক্কা খাবে বোর্ড। কিন্তু দেশের সম্মানের জন্য এটা করতেই হবে। তিনি বলছেন, ‘আমি নিশ্চিত শীঘ্রই ভারতীয় স্পনসররা ওই ঘাটতি পূরণ করে দেবে।’