চট্টগ্রামে হার্ডলাইনে প্রশাসন

অধিকাংশের মানুষ মাস্ক ছাড়া চলাচল করছে- রনী দে

সন্ধ্যা ৬টার পর বিপণীবিতান ও দোকানপাট খোলা রাখা যাবে না
খোলা থাকবে মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান
প্রয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউনও দেয়া হতে পারে : জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক <
করোনায় হার্ডলাইনে প্রশাসন। দেশের অন্য কোথাও শপিংমল, রেস্তোরাঁ এবং দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা না এলে চট্টগ্রামে সন্ধ্যা ৬টার সব ধরনের দোকান (মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া) বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসাথে গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চট্টগ্রামের সব বিনোদনকেন্দ্র ও জনসমাগমস্থল। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশ প্রশাসন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব নির্দেশনা কার্যকরে উদ্যোগ নিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থা প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, ‘এবারের করোনা আরো ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গতকাল একদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ অতিক্রম করেছে। তাই কোভিড ম্যানেজমেন্ট কমিটির সাথে বৈঠক করে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল, বিপণীবিতান সন্ধ্যা ৬টার বন্ধ থাকবে। তবে নগরবাসীর প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান ও মুদি দোকান খোলা থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের সব বিনোদনকেন্দ্রগুলো আগেই বন্ধ করার নির্দেশনা জারির করেছি। তবে যদি পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নেয় তাহলে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউনও দেয়া হতে পারে।
এদিকে গত বুধবার থেকে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে পরিবহনের পর থেকে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে এসেছে। ইতিমধ্যে গতকাল থেকে জনসমাগম নিষিদ্ধ করায় মানুষের বিচরণ আরো কমেছে। চট্টগ্রামে দ্রুত করোনার বিস্তার লাভ করছে। গত কয়েকদিন ধরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ জনের মধ্যে উঠানামা করলেও গতকাল একদিনেই তা ৫১৮ জনে গিয়ে ঠেকেছে। সামনে আরো বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা কাজ করছে। তবে এই বৃদ্ধির পেছনে তরুণরাই বাহক বলে মনে করছেন অনেকে।