চট্টগ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ স্পোর্টস কমপ্লেক্স

নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক »

চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রান্তে হাটহাজারী উপজেলার কৃষিফার্ম সড়কের মধ্যেরখিল এলাকায় সবুজ পাহাড়ের কোলে প্রায় ৬০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে কন্টিনেন্টাল স্পোর্টস কমপ্লেক্স। এখানে হবে আধুনিক অবকাঠামোগত সুযোগসুবিধার একটি পূর্ণাঙ্গ স্পোর্টস জোন।

কন্টিনেন্টাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কর্ণধার আহসান ইকবাল চৌধুরী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ফুটবল ও ক্রিকেটের জন্য দুটি আলাদা মাঠ প্রস্তুত হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। আহসান ইকবাল চৌধুরী আবির দেশের শিপিং সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানী কন্টিনেন্টাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সফল একজন ব্যবসায়ীর পাশাপাশি ক্রীড়াঅন্তঃপ্রাণ মানুষ তিনি। চট্টগ্রাম ক্রিকেটের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সারির দল পাইরেটস অব চিটাগং-এর কর্ণধার তিনি। ফুটবলে দ্বিতীয় বিভাগে এবারও ভালো দল গঠন করে শিরোপা জয়ের অপেক্ষায় আছে তার দল।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও বিশেষ অতিথি সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন একসময় বাংলাদেশের ক্রিকেটে চট্টগ্রামের অনেক স্বনামধন্য ক্রিকেটার অবদান রেখেছে। বর্তমানে কমে আসলেও আশা করছি ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেটে চট্টগ্রামের খেলোয়াড়রা অবদান রাখবে। দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে শুধু সরকারই কাজ করবে তা নয়, ব্যক্তি উদ্যোগেও ক্রীড়ার উন্নয়ন করা জরুরি। যে কাজটি করছে কন্টিনেন্টাল গ্রুপ। হাটহাজারীতে যদি এমন একটি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হয়, সেটি এ এলাকার ক্রীড়া উন্নয়নের জন্য ভালো এবং  দেশের জন্যও ভালো।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আগামী প্রজন্মকে দেশপ্রেমে জাগ্রত করতে হলে খেলাধুলার বিকল্প নেই। বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে এখন অনেকে শঙ্কিত। কারণ নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে আমি মনে করি, তৃণমূল পর্যায়ে খেলাধুলা যত বেশি ছড়িয়ে দেওয়া যাবে বর্তমান প্রজন্মকে নীতিনৈতিকতার অবক্ষয় থেকে রক্ষা করা যাবে।

কন্টিনেন্টাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম শহরে জায়গা নিয়ে স্পোর্টস কমপ্লেক্স করা খুবই ব্যয়বহুল। তাই শহরের প্রান্তে একটি নিরিবিলি মনোরম পরিবেশের এই জায়গাটি বেছে নিয়েছি। ফুটবল ও ক্রিকেটের জন্য দুটি আলাদা মাঠ ছাড়াও স্পোর্টস কমপ্লেক্সে থাকবে ৬০ জনের থাকার ব্যবস্থাসহ আধুনিক আবাসিক ভবন, ইনডোর ও আউটডোরে ৬টি ক্রিকেট পিচ। প্রাথমিক অবস্থায় ফুটবল ও ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেয়া হবে। পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে পুরো কমপ্লেক্সের কাজ দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে বলে জানান।

অনুষ্ঠানে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, কন্টিনেন্টাল গ্রুপের পরিচালক ও  জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা, ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।