চট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত ৩৭২

মারা গেলেন ৫ জন, সুস্থ ৪১ #

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ৩০০ এর নিচে নামছে না। গত রোববার ৪৪৫ জন শনাক্ত হওয়ার আগে গত শনিবার শনাক্ত হয়েছিল ৩৪৬ জন। আর মঙ্গলবার শনাক্ত হলো ৩৭২ জন। মঙ্গলবার বার (৩০ জুন) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, শেভরন ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১ হজার ৩৪৫টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ৩৭২ জনের। এই ৩৭২ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ২৫৯ জন ও উপজেলার ১১৩ জন। আর এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৮৫২ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ১৭৮ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১০৬৫জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছে পাঁচজন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪১ জন।
এদিকে সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ৩১০টি নমুনার মধ্যে ৩৯টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৩৯ জনের মধ্যে ৩০ জন মহানগরের এবং ৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮৬টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৬০ জনের, এদের মধ্যে ৩১ জন নগরীর এবং ২৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৩১৭টি নমুনার মধ্যে ৭৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের মধ্যে ৬১ জন নগরীর এবং ১২ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৫টি নমুনার মধ্যে ৩৬ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৩৬ জনের মধ্যে ৬ জন মহানগরীর এবং ৩০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫৯টি নমুনার মধ্যে ৪৪ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ৩৬ জন নগরীর এবং ৮ জন উপজেলার বাসিন্দা। শেভরনে ২০৪টি নমুনার মধ্যে ১১০ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এরমধ্যে ৯৫ জন মহানগরীর এবং ১৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ২৪টি নমুনার মধ্যে ১০ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের সকলে উপজেলার বাসিন্দা।
উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ১১৩ জনের মধ্যে সাতকানিয়ায় ১৩ জন, বাঁশখালীতে ৭ জন,আনোয়ারায় ৪ জন, চন্দনাইশে ৭ জন, পটিয়ায় ৮ জন, বোয়ালখালীতে ৪ জন, রাউজানে ১৫ জন, ফটিকছড়িতে ৭ জন হাটহাজারিতে ২১ জন, সীতাকুন্ডে ৫ জন এবং মিরসরাইয়ে ৩ জন রয়েছেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার নতুন করে ৩৭২ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৮,৮৫২ জন। এর আগে ২৯ জুন ৪৪৫ জন, ২৮ জুন ৩৪৬, ২৭ জুন ৬৪ জন, ২৬ জুন ১৫৯ জন, ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়।