চট্টগ্রামে কোভিড টিকার আওতায় ‘ছিন্নমূল’ মানুষ

ছিন্নমূল মানুষদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে। গতকাল সকালে পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়

সুপ্রভাত ডেস্ক »
জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র যাদের নেই, স্থায়ী ঘরবাড়ি বা ঠিকানা নেই, এমন ভাসমান দিনমজুর, কারখানা-হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মী, পরিবহন শ্রমিক আর ছিন্নমূল মানুষদের কোভিড টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে এই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। খবর বিডিনিউজের।
নগরীতে ভাসমান এই মানুষদের দেওয়া হচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসনের এক ডোজের কোভিড টিকা। প্রতিদিন ৫ হাজার করে টিকা দেওয়া হবে বলে চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর অনুষ্ঠানে জানান।
তিনি বলেন, ‘নগরীর পুরাতন রেল স্টেশন, সাগরিকা, বিআরটিসি ফলমন্ডি, খাতুনগঞ্জ ও ইপিজেড এই পাঁচ এলাকায় ভাসমান মানুষদের জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এরকম এক লাখের কিছু বেশি টিকা মজুদ আছে। প্রয়োজনে আরও টিকা আনা হবে।
জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি নগরীতে মোট ৫২টি সেন্টার এবং জেলায় মোট ৬৭৪টি কেন্দ্রে একযোগে সাড়ে ৩ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে।
জনসনের এক ডোজ নিলে দ্বিতীয় ডোজ লাগবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা ভাসনাম মানুষ তাদের ঠিকানা সব সময় পাওয়া যায় না তাদের এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।’
সকালে পুরাতন রেল স্টেশন চত্বরে ভাসমান মানুষদের সারিবদ্ধভাবে টিকা নিতে দেখা যায়। এ সময় টিকা গ্রহীতাদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখা হয়। এর আগে কোভিডের অন্য কোনো টিকা নিয়ে থাকলে জনসনের এই টিকা না নিতে এবং জনসনের টিকা নেওয়ার পর অন্য কোনো টিকা না নিতে বলা হয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক ডা. শাখাওয়াত উল্লাহ, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মু. মাহমুদ উল্লাহ ফারুক ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২০ জানুয়ারি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জনসন অ্যান্ড জনসনের ৩ লাখ ৩৬ হাজার ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা আসে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা হিসেবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ এই টিকা পেয়েছে।
এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাকের টিকা এসেছে বাংলাদেশে।
তবে অন্য কোম্পানির টিকা যেখানে অন্তত দুই ডোজ দিতে হয়, জনসনের তৈরি এই করোনাভাইরাসের টিকা এক ডোজের। অবশ্য পরে বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।