চট্টগ্রামে আবারো বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ১৯৪ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনায় গত ১৩ জুন ২৬৯ জন সর্বোচ্চ আক্রান্তের পর ধীরে ধীরে কমতে ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকি গত ১৮ জুন তা নামতে নামতে ১৪৮ জন পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল। তবে গতকাল শনিবার একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৪ জন। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গত শনিবার (২০ জুন) ৬৭০টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ১৯৪ জনের। এই ১৯৪ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২৮ জন ও উপজেলার ৬৬ জন। আর এতে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ২৯২ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ১৪১ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৬৩৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছে দুজন এবং সুস’ হয়েছে ৫০ জন।

সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৭৭টি নমুনার মধ্যে ৯৭টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৯৭ জনের মধ্যে ৬২ জন মহানগরের এবং ৩৫ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ১৮ জনের, এদের সবাই উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২০৩টি নমুনার মধ্যে ৬২ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ৬২ জনের মধ্যে ৫৮ জন নগরীর এবং ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৯টি নমুনার মধ্যে ১৬ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ১৬ জনের মধ্যে ৮ জন মহানগরীর এবং ৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১টি নমুনার মধ্যে একজনই পজিটিভ হয়েছেন, তিনি উপজেলার বাসিন্দা।  অপরদিকে গত শনিবার ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের পরীড়্গার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ৬৬ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় একজন, সাতকানিয়ায় একজন, বাঁশখালীতে একজন, চন্দনাইশে ১১ জন, পটিয়ায় ১৫ জন, বোয়ালখালীতে  ১৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় একজন, রাউজানে ১০ জন, হাটহাজারিতে ৯ জন, সীতাকুন্ডে ৭ জন ও মিরসরাইয়ে ৮ জন  রয়েছেন।

এদিকে গত শনিবার নতুন করে ৯৪ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৬,২৯২ জন। এর আগে ১৯ জুন ১৮৭ জন,  ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন,  ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন,  ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন,  ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।