চকরিয়ায় বনাঞ্চলে উদ্ধার পুঁতে রাখা বন্যহাতির মরদেহ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »
চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা একটি মৃত হাতি উদ্ধার করেছে বনবিভাগের কর্মকর্তারা। বিদ্যুতের তারে জাড়িয়ে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার বিকালের দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ছড়াখোলা এলাকার একটি গর্ত খুঁড়ে মৃত হাতিটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বনকর্মী ও এলাকাবাসী জানান, গত মঙ্গলবার রাতে চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ছড়াখোলা এলাকায় একটি হাতির পাল ধান খেতে আসে। এসময় ধান রক্ষা করতে দেয়া বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায় একটি হাতি। পরে ধান খেতের মালিকরা গোপনে হাতিটিকে গর্ত করে মাটিতে পুঁতে ফেলে। শনিবার ওই হাতিটির শরীরের একটি অংশ স্পষ্ট হয়ে উঠে। পরে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে হারবাং বনবিট কর্মকর্তাদের খবর দেয়।
দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জ র্কমর্কতা শাহীন বিপ্লব বলেন, শনিবার স্থানীয় লোকজন ও বনকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পারি একটি হাতি মারা গেছে। এরপরই ঘটনাস্থলে যাই। বনকর্মীদের সহযোগিতায় গর্তে পুঁতে রাখা হাতিটি উদ্ধার করা হয়।
পরে চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ র্কমর্কতা ডা. সুপন নন্দী ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সহকারী ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান হাতিটির ময়নাতদন্ত করেন।
তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হাতিটিকে হত্যা করা হতে পারে। কারণ হাতিটির শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় জিডি করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ ডা. সুপন নন্দী বলনে, ‘মৃত হাতিটি পুরুষ। এর বয়স আনুমানিক ১৫-১৮ বছর। ওজন প্রায় ২টন। ধারণা করা হচ্ছে ক’দিন আগে হাতিটি বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা যায়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের র্পূণগ্রাম বনবিট এলাকার হাইথারাঘোনা গ্রামে একটি হাতিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই হাতির বয়স আনুমানিক ১২-১৫ বছর। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।