গ্রুপিংয়ের থাবায় বাংলাদেশের ক্রিকেট

আলোচনায় তামিম-সাকিবের সম্পর্ক!

সুপ্রভাত ডেস্ক »

অবিশ্বাস্য খবর দিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। লম্বা সময় ধরেই দলের মধ্যে গ্রুপিং চলছে। আর তাতে সিনিয়র দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের ভূমিকাও আছে বলে জানিয়েছেন তিনি! এসব কারণে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে এই ইস্যুতে ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছেন সভাপতি। খবর বাংলাট্রিবিউনের।

সাক্ষাৎকারে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা, এই গ্রুপিং এবং এটাই বাস্তবতা। আমার আর কিছুতে সমস্যা নেই। আমি শুধু এই গ্রুপিং নিয়ে ভীত এবং আমি সম্প্রতি এ ব্যাপারে জানতে পেরেছি। বিশ্বকাপের পর আমি যা শুনেছিৃআমি বিশ্বাস করতে পারছি না এটা কীভাবে সম্ভব! ক্রিকেটের সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে হলে আমাদের এর অবসান ঘটাতে হবে। সব ক্রিকেটারকেই বুঝতে হবে, এখানে গ্রুপিংয়ের কোনও সুযোগ নেই।’

দলের এই গ্রুপিংয়ের জন্য সিনিয়র দুই ক্রিকেটারদের দায়টাও কম নয়। যদিও বোর্ড প্রধান সরাসরি কিছু না বললেও ড্রেসিরুমে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের সম্পর্কের ব্যাপারটি ওপেন সিক্রেট। এই দুজন খুব প্রয়োজন ছাড়া একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেন না। এ ব্যাপারে কেউ কখনও আনুষ্ঠানিক কিছু না বললেও সবার মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে চর্চা আছে। এবার সাকিব-তামিমের শীতল সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে হলো বোর্ড প্রধানকে।

নাজমুল হাসানও স্বীকার করেছেন, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ স্বাভাবিক নেই। তার কথাতেই স্পষ্ট, সিনিয়র দুই ক্রিকেটারের জন্যই এমন অপ্রীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

ক্রিকবাজকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘এটা মোটেও স্বাস্থ্যইকর ড্রেসিংরুমের চিত্র নয়। আমি নিশ্চিতভাবেই বলছি। যে জিনিসটা (তামিম ও সাকিবের মাঝে সম্পর্কের ফাটল) এমন না যে আমি এটা সমাধানের চেষ্টা করিনি। আমি দুজনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বুঝতে পেরেছি এই মুহূর্তে দুজনের এই সমস্যাষ সহজে সমাধান হবে না। এটা আমার পর্যবেক্ষণ।’

তবে এমন গ্রুপিং সমস্যা সমাধানের জন্য দুদিন আগে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়া হাথুরুসিংহেই উপযুক্ত বলে মন্তব্য করেন বোর্ড প্রধান, ‘হাথুরুসিংহে আসার পর আমার মনে হচ্ছে নতুন কোনও একটা সমস্যা হতে পারে। আমি এখনই তা বলতে চাচ্ছি না। আমি আশা করছি সেই সমস্যাটা বড় হবে না। এর বাইরে আমি বিশ্বাস করি ড্রেসিংরুমের পরিবেশ সুন্দর করতে হাথুরুসিংহে বড় ভূমিকা পালন করতে পারবেন। হাথু এসব প্রশ্রয় দেবে না। হয় সবাইকে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে, নয়তো সে চলে যাবে, কারণ সে এমনই। সে যে বাংলাদেশকে আগে পরিচালনা করেছিল এবং যে দলটি সে নিচ্ছে, তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।’

আগের মেয়াদের মতো এই মেয়াদেও হাথুরুসিংহে বেশ কঠোর হবে বলে জানিয়ে রাখলেন পাপন, ‘কিন্তু একটি সমস্যা আছে, কয়েকজন কোচের মধ্যে তাদের পছন্দের খেলোয়াড় বাছাই করার এবং তাকে দলে রাখার প্রবণতা রয়েছে কারণ তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা তাকে বাদ দিতে পারে না। হাথুরুসিংহে এটা মেনে নেবে না। সে সুযোগ দেবে এবং দেখবে, কিন্তু যদি কোনও খেলোয়াড় ভালো না করে, তাহলে কোনও না কোনও সময়ে সে হস্তক্ষেপ করবে।’