কক্সবাজারে ১১১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ

ভূমি অধিগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »

কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প এলাকার ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ১১১ কোটি ৭ লাখ ২৩ হাজার ৮০২ টাকার চেক বিতরণ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৭০ জনের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেয় জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এটি একদিনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণের টাকা বিতরণের ঘটনা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘদিন পর ক্ষতিপূরণের চেক হাতে পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা। তারা এমন উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, এই প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৬ কোটি টাকা। এর আগে বিভিন্ন ধাপে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রায় ২০০ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
ক্ষতিপূরণের চেক হাতে মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, কোথাও কোন টাকা না দিয়ে স্বচ্ছতার সাথে এই টাকা পেয়েছি। আমি খুব খুশি।
চেক হাতে পেয়ে প্রায় একই কথা বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরও। তিনি বলেন, এই ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, যারা নিজের জায়গা-জমি ভিটেমাটি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে প্রশস্ত করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। এই ক্ষতিপূরণের টাকা দীর্ঘদিন ধরে জমা পড়ে ছিল। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীর কোন হাত নেই। আমরা চেষ্টা করেছি, যার টাকা তার হাতে তুলে দিতে।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় প্রকল্প নিয়েছেন। তিনি চান যারা জমি দিচ্ছেন তারা যেন কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই তাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ পান। এ ধরনের ক্ষতিপূরণের চেকগুলো সাধারণত অফিসে দেওয়া হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসন প্রকাশ্যে এ চেক বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন, যা প্রশংসনীয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল বলেন, যারা এ প্রকল্পের জন্য ধানক্ষেত, ভিটেমাটি দিয়েছেন তারা কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান উন্নয়ন প্রকল্পের অংশীদার।
প্রকল্প পরিচালক, সরকারের উপসচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারকে নিয়ে সবসময় চিন্তা করেন। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছেন। ৩২৩ একর জমি প্রথম পর্যায়ে অধিগ্রহণ করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিককে মৌজা রেইটের তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে বর্তমান সরকার।