ওমিক্রন ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’, বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে: ডব্লিউএইচও

সুপ্রভাত ডেস্ক »

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ‘উচ্চ ঝুঁকি’ আছে এবং কিছু অঞ্চলে এটি ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সোমবার জাতিসংঘের এই স্বাস্থ্য সংস্থাটি এর ১৯৪ টি সদস্য দেশকে সংক্রমণের ঢেউ ঠেকাতে বিশেষ গ্রুপের মানুষদের মধ্যে টিকাদানের হার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা ঠিক রাখতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনার যথার্থতাও নিশ্চিত করতে বলেছে ডব্লিউএইও।

নতুন ভ্যারিয়েন্টের স্পাইক প্রোটিনে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজন বা মিউটেশন হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এর মধ্যে কিছু মিউটেশন উদ্বেগজনক। কারণ, তা মহামারীর গতিপথও বদলে দিতে পারে।

ডব্লিউএইচওর আশঙ্কা, নতুন এই ধরন বিশ্বের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের এই ধরনে কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে নতুন ধরনটির বিরুদ্ধে প্রচলিত কোভিড টিকা কার্যকর কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও বলছে, ওমিক্রনে সংক্রমণ এবং রোগের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে তা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং অসুস্থতা ও মৃত্যু বাড়িয়ে দিতে পারে। অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব হবে গুরুতর, বিশেষ করে কম টিকা দেওয়া দেশগুলোতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার খবর পেয়েছে। দেশটিতে এরই মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ লাফিয়ে বেড়েছে। এছাড়াও, নেদারল্যান্ডস ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশেই ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধ করাসহ ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। জাপান সোমবার বিদেশিদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

ডব্লিউএইচও তাদের সর্বশেষ নির্দেশিকায় বলেছে, “সব দেশের উচিত ঝুঁকির-ভিত্তিতে নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে সময়মতো আন্তর্জাতিক ভ্রমণ সংক্রান্ত সব পদক্ষেপ ঠিক করে নেওয়া। এ বিষয়ে পরে আরও পরামর্শ দেওয়া হবে।”

ওমিক্রন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যেহেতু নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট এর স্পাইক প্রোটিন বারবার অভিযোজনের ক্ষমতা রাখে, ফলে এর শক্তি অনেকটাই বেশি। স্পাইক প্রোটিনে একাধিক মিউটেশন টিকার কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে বলে উদ্বেগ আছে। এ বিষয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র : বিডিনিউজ