এলাকাবাসীর বিক্ষোভ-মানববন্ধন

চকরিয়ায় শতবছরের পুকুর ভরাটের চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নে শতবছরের প্রাচীন একটি পুকুর দখলে নিয়ে মাটি ফেলে ভরাট চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর পুকুরটি ভরাট চেষ্টার খবর শুনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার অন্তত তিন শতাধিক পরিবার। এ ঘটনায় কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। তবু দখল চেষ্টা অব্যাহত থাকায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি তাদের শতবছরের ব্যবহৃত পুকুরটি রক্ষায় গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বিএমচর ইউনিয়নের বহদ্দারকাটা স্টেশনে বিক্ষোভ পরবর্তী পুকুরে গিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকার দুই শতাধিক বিক্ষুদ্ধ নারী-পুরুষ। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন স্থানীয় বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াদুল ইসলাম সেলিম, এলাকাবাসী শওকত ওসমান, জাহেদুল ইসলাম বাদল, আক্তার আহমদ সওদাগর, আবুল কালাম মাঝিসহ অনেকে। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শিক্ষক, সমাজকর্মী এবং এলাকাবাসী। এলাকাবাসির দাবি, উল্লেখিত এজমালি সম্পত্তির মধ্যে মসজিদ, গ্রামের রাস্তা এবং ‘চেরাইঙ্গা পুকুর’ নামের শতবছরের একটি পুকুর বিদ্যমান। ১২জন মালিকের অনাপত্তিতে সেই ৮যুগের বেশি সময় ধরে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর বহদ্দারকাটা এলাকার চারশত পরিবারের মধ্যে অন্তত তিনশত পরিবার উল্লেখিত এজমালি সম্পত্তিতে স্থাপিত মসজিদে নামাজ আদায়, রাস্তা দিয়ে চলাচল এবং পুকুরে গোসল ছাড়াও প্রাত্যহিক কাজে ব্যবহার করে আসছেন। প্রায় ২০বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে পুকুরটির দুই দিকে জনসাধারণের ব্যবহারের সুবিধার্থে দুইটি জলসিঁিড়ও নির্মাণ করা হয়েছে। মানববন্ধনে স্থানীয় আক্তার সওদাগর ও আবুল কালাম মাঝি বলেন, উল্লেখিত এজমালি সম্পত্তির ১২জন মালিকের মধ্যে ১১জন স্থানীয়। তাদের পরিবারও উল্লেখিত মসজিদ, রাস্তা এবং পুকুরটি এলাকাবাসির সঙ্গে ব্যবহার করে আসছেন।

সেইকারণে জনগনের জন্য উন্মুর্থ করে দেওয়া সম্পত্তির অংশ কোনদিন ফেরত দাবি করেননি উল্লেখিত ১১জন মালিক।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসি মানবন্ধনে অভিযোগ তুলেছেন, জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দপ্তরে আপীল মামলাটির রায় নিস্পত্তি না হলেও কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে অভিযুক্ত মনু সওদাগর পুকুরটি দখলে নিয়ে সেখানে মাটি ফেলে ভরাটের অপচেষ্ঠা চালাচ্ছেন।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াদুল ইসলাম সেলিম।     তিনি বলেন, আমরা চাই জনগনের সম্পদ জনগনের কাছে থাকুক, যাতে কেউ দখল করতে না পারে। সেইজন্য চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ আলহাজ জাফর আলম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আমরা ন্যায় বিচার চাই।