এবার মূল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের

নগরীর বাদশা মিয়া সড়কের চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাস-সুপ্রভাত

চারুকলা ইনস্টিটিউট

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই’ দাবি নিয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ফের মানববন্ধন ও অবস্থান কমর্সূচি পালন করেছে। চারুকলা ইনস্টিটিউট এক মাস বন্ধ ঘোষণার পর এটাই তাদের প্রথম কর্মসূচি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবি পূরণ না করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ক্ষণস্থায়ী সংস্কারের প্রতিবাদ জানাতে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ তারা আহ্বান করছে।

গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মূল ক্যাম্পাসে ফেরার এক দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

এ ব্যাপারে চারুকলার ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাফিয়া শরীফ বলেন, ‘আমাদের সৈয়দ আব্দুলাহ খালিদ স্যার চারুকলা স্থানান্তরের বিপক্ষে ছিলেন। তিনি এর জন্য আইনি লড়াই চালিয়েছেন। এতে আপিলের জবাবে চারুকলা স্থানান্তর অনৈতিক না হলেও যথাযথ নয় বলে উল্লেখ করেছিলো কোর্ট। তারই নির্মিত স্থাপত্য শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে আজকে পুনরায় আমরা মূল ক্যাম্পাসে ফেরার আন্দোলন করছি। যতদিন আমাদের দাবি আদায় না হবে ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’

আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী সাবরিনা সুলতানা শিখা বলেন, ‘আমাদেরকে যেভাবে রাতারাতি চারুকলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো, সেখান থেকে ইনস্টিটিউটে অনশন কর্মসূচি পালনের যে পরিকল্পনা ছিলো সেটি সম্ভব হয়নি। তাই আমাদের কর্মসূচিগুলো পুনরায় এখানে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছি। মূলত আমাদের আন্দোলনকে ভেস্তে দিতেই আমাদের সাথে শুরু থেকেই এসব টালবাহানা করা হচ্ছে। আশ্বাস দেওয়ার পরও বার বার আমাদের মূল দাবিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় নীতি নির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউট ৫ ফেব্রুুয়ারি থেকে ১ মাস বন্ধ ঘোষণা ও ওইদিন (২ ফেব্রুুয়ারি) রাত ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশনা দেয়।

প্রক্টর সূত্রে জানা যায়, বন্ধের ১ মাস ইনস্টিটিউটের সংস্কার চলবে বিধায়স সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে চলবে ক্লাস। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসের পক্ষে থাকলেও প্রশাসনের নিকট এক দফা দাবিতে মূল ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান। তারা ইনস্টিটিউট বন্ধের ও ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশের প্রতিবাদ জানান।