একি হাল আমির খানের

সুপ্রভাত ডেস্ক :
‘সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়’। ১৯৮৮ থেকে ২০২০। সময়টা নেহাত কম তো নয়! ৩২ বছর! যো জিতা ওহ হি সিকন্দর থেকে থাগস অফ হিন্দোস্থান, রাস্তাটা কতো লম্বা। কত বাঁক এল, খানা খন্দ, গর্ত এল, আবার দেখতে দেখতে পেরিয়েও গেল। ‘পেহলা নাশা’র আমির আজ ‘বুড়ো’ হলেন।
আটের দশকের শেষের দিকে বলিউডে ‘চকোলেট বয়’ ইমেজ নিয়ে মাতিয়ে দিয়েছিলেন আপামর দেশবাসীকে। ‘গজব কা হ্যায় দিন’ এর প্রতি ছত্রে আমাদের আগের কিমবা পরের প্রজন্মের কতো কতো সঞ্জয় শর্মা ধরে রাখলেন তাদের আজীবন যৌবন, বেঁচে থাকার সব রসদ।
১৯৯২ তে মুক্তি পাওয়া কয়ামত সে কয়ামত তক সাড়া ফেলে দিয়েছিল দর্শকের মধ্যে। আমিরের চলন বলন, কথা বলা নিজের শরীরে ফুটিয়ে নিয়ে ক্ষণিকের স্বপ্নে নিজেকে হিরো ভেবে নিয়েছে কত শত তরুণ। তাদের কেউ আজ নাম করেছে, এসি গাড়ি, বিশাল বাড়ি- কারোর আবার কিচ্ছু হয়ে ওঠা হয়নি। তারা তাদের হয়ে ওঠাটুকু ধরে রেখেন ‘চাহে তুম কুছ না কাহো ম্যায়নে শুন লিয়া’তেই।
তাই ২০২০ সালের ফাদার্স ডে তে আমির কন্যা ইরা যখন বাবার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে, আর সে ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া, সেখানে স্টারডম থাকেনা, গ্ল্যামার থাকে না, একটা সময়ের বয়ে যাওয়া থাকে। চুলে পাক ধরা, মুখে ভাঁজ ধরা আমিরের মধ্যে আসলে ধরা থাকে তিন দশকের এক ইতিহাস। এক প্রজন্মের হতাশার, ঘুরে দাঁড়ানোর, বিক্ষোভে ফেটে পড়ার, আবার প্রথম প্রেমের সব আবেগকে আড়াল করার এক শাশ্বত ইতিহাস। হ্যাপি ফাদার্স ডে আমির!
তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস’র।