এইডস রোগীদের জন্য দরকার সুচিকিৎসা

বৈঠকে ডেপুটি সিভিল সার্জন

‘বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইডস রোগী পাওয়া যায়। প্রায় এক কোটি লোক দেশের বাইরে কাজ করার পরেও কিন্তু আমাদের ভীতিকর অবস্থা নেই। এ জন্য সরকারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামাজিক উদ্যোগের বড় ভূমিকা আছে। কিন্তু এখনো চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে এইডস সম্পর্কে এক ধরনের আতঙ্ক আছে, এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, এটা কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। এইডস রোগীকে সমাজের মূলধারায় নিয়ে আসতে হবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিলনায়তনে বন্ধু স্যোসাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ের সংবেদনশীলতা বৈঠকে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খান একথা বলেন। বন্ধু স্যোসাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির হালিশহর ডিআইসি ম্যানেজার মো. হারুন অর রশীদের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রোগ নিয়ন্ত্রক ডা. নূরুল হায়দার, চিকিৎসক ডা. জাহিদ, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়া, হিজড়াদের গুরু মা জুলিয়া, গুরুমা ফাল্গুণী, বন্ধু স্যোসাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির মুরাদপুর ডিআইসি ম্যানেজার শ্যামল কুমার ম-ল, বিভিন্ন এনজিও এর প্রতিনিধি, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, আইনজীবী প্রমুখ। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খান বলেন, এইচআইভি-এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকেই ঘৃণার চোখে দেখে বলে আক্রান্ত ব্যক্তি রোগের কথা গোপন রাখেন। ফলে সহজে রোগ ছড়ায়। অনেকেই জানেন না, সরাসরি রক্তের সংক্রমণ ছাড়া শুধু ছোঁয়া বা হাঁচি-কাশিতে এইডস ছড়ায় না। তাই ঘৃণা নয়, এইডস রোগীদের জন্য দরকার সুচিকিৎসা। এ সম্পর্কে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি।

সভাপতির বক্তৃতায় বন্ধু স্যোসাল ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির হালিশহর ডিআইসি ম্যানেজার মো. হারুন অর রশীদ বলেন, এসডিজিতে (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) তিন নম্বর লক্ষ্যমাত্রা হলো সুস্থ জীবন নিশ্চিত করা। সব বয়সী মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করা। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হলে এসডিজিতে আলাদাভাবে এইচআইভির উল্লেখ না থাকলেও এটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

আলোচকরা বলেন, কিভাবে এইডস প্রতিরোধ করা যাবে বিষয়টি সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছানো সবচেয়ে জরুরি। এ জন্য প্রচার-প্রচারণা খুব দরকার। আর যে বৈষম্যমূলক আচরণ সংক্রমিত ব্যক্তিকে সমাজ থেকে আলাদা করে দেয়, তা থেকে বের হয়ে আসা দরকার।

আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম। কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। আমাদের পার্শ্ববর্তী প্রতিটি দেশই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই যৌনকর্মী ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীসহ সবাইকে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি। বিজ্ঞপ্তি