ঈদে বাড়ি ফেরা নিরাপদ হোক

ঈদ মানেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। দীর্ঘ সময় পরিবার থেকে আলাদা থাকার পর ঈদেই তো কাছের মানুষদের কাছে যাওয়া হয়, আনন্দে কাটানো হয় কয়েকটা দিন।
বাঙালি মুসলমানের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ। স্বাভাবিকভাবেই এ উৎসব ঘিরে থাকে আবেগ। সে আবেগের টানেই মানুষের ঘরে ফেরা। কর্মসূত্রে বছরের বেশিরভাগ সময় মানুষকে দূরদূরান্তে থাকতে হয়। ঈদের ছুটিতে তাই বাড়ি ফেরা নিয়ে তাদের আগ্রহ থাকে অনেক বেশি। এ সময় পরিবারের সবার সঙ্গে, আত্মীয়, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ মেলে।
ঈদযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। সুবিধার জন্য এবার সরকার ঈদের ছুটি এক দিন বাড়িয়েছে। ২৭ জুন ছুটি শুরু হয়ে চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। ১ জুলাই শনিবার থাকায় ছুটি কার্যত পাঁচ দিন হবে।
ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে বাস ও ট্রেনের টিকিট কাউন্টারগুলোতে। বাড়তি চাপ আর ঝুঁকি এড়াতে যারাই সুযোগ পেয়েছেন, ছুটছেন বাড়ির পথে।
প্রতিবছর ঈদযাত্রার বিড়ম্বনার কারণ যাত্রীদের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কম। ট্রেনকে সবচেয়ে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পরিবহন ভাবা হয়। সম্প্রতি ট্রেনের সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হলেও প্রয়োজনের তুলনায় কম। ট্রেন সময়সূচি মেনে চললে যাত্রীদের ভোগান্তি কম হবে। সময়সূচি না মানা হলে ভোগান্তির সীমা থাকবে না।
ঈদযাত্রায় মানুষ প্রধানত সড়কপথের ওপর ভরসা করে। ঈদের সময় অনেক বেশি ও বিচিত্র ধরনের যানবাহন সড়কে নামানো হয় বলে যানজটের আশঙ্কা বেড়ে যায়। এ অবস্থায় সড়ক ব্যবস্থাপনা যদি ঠিকঠাকমতো না হয়, অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বাস-ট্রেন-নৌ সব পথেই নিরাপদে মানুষের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করা জরুরি। কোনো পথই যেন জনভোগান্তির কারণ না হয় সেদিকটি নিশ্চিত করতে হবে। ঈদ সামনে রেখে বাস-ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ যেসব অব্যবস্থাপনা রয়েছে, তা দূর করতে হবে। সেই সঙ্গে ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনতে প্রচার এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণও জরুরি। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে সরকার সর্বোচ্চ নজর দেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ঈদ যাত্রা শুভ হোক সকলের।