ইউক্রেনের ৫২৫০০ টন গম নিয়ে চট্টগ্রামে ‘ম্যাগনাম ফরচুন’

সুপ্রভাত ডেস্ক »

ইউক্রেনের সাড়ে ৫২ হাজার টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ভিড়েছে ‘এমভি ম্যাগনাম ফরচুন’ জাহাজটি। সরকার টু সরকার (জিটুজি) চুক্তির আওতায় এ গম কেনা হয়েছে। ইতোমধ্যে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র পরীক্ষার জন্য নমুনাও সংগ্রহ করেছে। গম খালাসে দ্রুতগতিতে চলছে বন্দর ও কাস্টমসের আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া। খবর বাংলানিউজের।

রাশিয়া থেকে ৪৯ হাজার ৪০০ টন গম নিয়ে কয়েকদিন আগে ভিড়েছে আরেকটি জাহাজ। গম এসেছে বুলগেরিয়া থেকেও। রাশিয়া থেকে ৫৪ হাজার টন গম নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যে ভিড়বে আরেকটি জাহাজ। সব মিলে গম সংকট মোকাবেলায় আশার আলো দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (সংরক্ষণ ও চলাচল) মো. আবদুল কাদির।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, জাতীয় স্বার্থে গমের জাহাজ হ্যান্ডলিংকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একের পর এক গমের জাহাজ আসছে। সর্বশেষ মিশর হয়ে এলো এমভি ম্যাগনাম ফরচুন। আরও গমবাহী কয়েকটি বড় জাহাজ পাইপলাইনে রয়েছে।

মো. আবদুল কাদির বলেন, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পেলেই বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজ থেকে গম খালাস করবে লাইটার জাহাজ। একেকটি লাইটার জাহাজ ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টন গম নিয়ে আসবে পতেঙ্গার সাইলো জেটিতে। সেখান থেকে ট্রাকযোগে সারা দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে কয়েকদিন আগে ৪৯ হাজার ৪০০ টন গম নিয়ে আরেকটি জাহাজ এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সেই গমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খালাসের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। এর আগে বুলগেরিয়া থেকে এসেছে আরেকটি গমের জাহাজ। আগামী সপ্তাহে রাশিয়া থেকে ৫৪ হাজার টন গম নিয়ে আসবে আরেকটি জাহাজ। এভাবে গম আসতে থাকলে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ চেইন গড়ে উঠবে।

উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা ইউক্রেন থেকে গম নিয়ে আসা জাহাজটি থেকে গমের নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গমের চালানের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আমদানিকারক জানান, বাংলাদেশে চালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চাহিদার খাদ্যশস্য হচ্ছে গম। গম থেকে তৈরি আটা, ময়দা দিয়ে রুটি, পাউরুটি, বিস্কুট থেকে শুরু করে অনেক ধরনের খাদ্যপণ্য তৈরি করা হয়। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে বেশি গম আমদানি করে বাংলাদেশ। যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বাজারে।