চট্টগ্রামে আড়াই হাজার অতিক্রম করলো করোনা রোগী

৩৮৯ নমুনায় পজিটিভ হলো ১৫৯ জন :

নিজস্ব প্রতিবেদক >

চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডির পরীড়্গা তিনদিনের জন্য বন্ধ। তাই এখন নগরীর দুই ল্যাবই ভরসা। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৩৮৯টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১৫৯টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ১৫৯ জনের মধ্যে মহানগরীর ১১৫ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৪৪ জন। আর এদিকে গতকালের ১৫৯ জন নতুন আক্রানত্ম হওয়ায় চট্টগ্রামে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৫৮৮ জন, এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০৫ জন ও মারা গিয়েছেন ৭২ জন।

সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৩১টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ৯৭ জনের। এই ৯৭ জনের মধ্যে ৯৩ জন মহানগরীর এবং ৪ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪১টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ৬১টি । এই ৬১টির মধ্যে ২২টি মহানগরীর এবং উপজেলার ৩৯টি রয়েছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১৭টি নমুনার মধ্যে একটি পজিটিভ পাওয়া গেছে, যা উপজেলার।

এদিকে উপজেলার ৪৪ জন রোগীর মধ্যে- লোহাগাড়ায় একজন, আনোয়ারায় একজন, চন্দনাইশে ১৩ জন, পটিয়ায় ১৩ জন, বোয়ালখালীতে পাঁচ জন, রাউজানে একজন, হাটহাজারিতে একজন, সীতাকু-ে আটজন ও সন্দ্বীপে একজন রয়েছেন।

এদিকে নতুন করে ১৫৯ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ২,৫৮৮ জন। এর আগে ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রানত্ম হয়েছিল।