আপিল খারিজ কপাল পুড়ছে সালাহউদ্দিনের!

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »

আপিল আবেদন খারিজের মধ্যদিয়ে আবারও কপাল পুড়ছে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপির।

ঋণখেলাপির তালিকা থেকে তাকে বাদ দেওয়া অর্থঋণ আদালতের আদেশে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশই বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

গতকাল বুধবার আওয়ামী লীগের এমপি পদপ্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। এ আদেশের ফলে ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকায় সালাহউদ্দিনের নাম থাকছে। এই প্রেক্ষাপটে আইন অনুযায়ী ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।

আপিল বেঞ্চের আদেশ মতে, কক্সবাজার-১ আসন থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি অংশ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে সালাউদ্দিন আহমেদ এর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও আহসানুল করিম। জনতা ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।

জনতা ব্যাংকের আইনজীবী পরে সাংবাদিকদের বলেন, ঋণখেলাপির তালিকায় সালাউদ্দিন আহমেদের নাম থাকায় তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

তবে সালাউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী জানিয়েছেন, মনোনয়ন ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইকালে ঋণখেলাপির তালিকায় নাম থাকায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপির মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।

এরপর সালাউদ্দিন আহমদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালত তার নাম ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেন।
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে জনতা ব্যাংক। শুনানির পর হাইকোর্ট অর্থঋণ আদালতের আদেশ স্থগিত করেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন সালাউদ্দিন আহমেদ। এই আবেদনে শুনানির পর গতকাল হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।

জানা গেছে, বর্তমানে কক্সবাজার ১ আসনে বৈধ প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ৮ জন। তারা হলেন বর্তমান এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সদ্য বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম, জাতীয় পাটির (এরশাদ) প্রার্থী হোসনে আরা আরজু, জাতীয় পাটির (মঞ্জু) এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির হাজি আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের বেলাল উদ্দিন ছিদ্দিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এমপি জাফর আলমের ছেলে তানভীর আহমেদ ছিদ্দিকী তুহিন।