আনোয়ারায় গড়ে ওঠছে সার্ভিস এরিয়া

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া »

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের কারণে বদলে যাচ্ছে আনোয়ারা। নির্মিত হচ্ছে কোরিয়ান ইপিজেডসহ চায়না অর্থ অঞ্চল, পর্যটনের রির্সোট ও টানেলের সার্ভিস এরিয়া। প্রায় ৯৫ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত এ সার্ভিস এরিয়ায় একটি করে টানেলের র‌্যাপলিকা, কনভেনশন সেন্টার, হেলথ সেন্টার, হেলিপ্যাড, মসজিদ, টানেলসহ চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে একটি জাদুঘর, ভিভিআইপি বাংলো এবং ৩০টি রেস্ট হাউজ গড়ে তোলা হচ্ছে। এ সার্ভিস এরিয়াতেই গড়ে তোলা হচ্ছে টানেলের দক্ষিণ অংশের একটি পুলিশ থানা।

সার্ভিস এরিয়াটির বাইরে দিকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, আনোয়ারা এলাকার টানেলের দক্ষিণে মূলত পারকি খালের উত্তরে নির্মিত হচ্ছে এ সার্ভিস এরিয়া। বেশ তোড়জোড় নিয়ে চলছে সার্ভিস এরিয়া নির্মাণের কাজ। এ নির্মাণ কাজে থাকা ভবনগুলো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। পারকি খালেও নির্মাণ করা হয়েছে একটি কালভার্ট। এর দক্ষিণে রাখা হয়েছে তিনটি রেস্ট হাউজ। পুরো এলাকা নিরাপত্তা বেস্টনির দেওয়াল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।

এ কর্মযজ্ঞ নিয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘টানেলের কারণে আনোয়ারার অনেক পরিবর্তন হবে। কিন্তু উন্নয়ন অনুপাতে সেখানে তেমন কোনো ভালো হোটেল বা রিসোর্ট নেই। এ পরিকল্পনা থেকেই এ সার্ভিস এরিয়া নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে আনোয়ারায় অংশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভালো প্রভাব পড়বে। এ সার্ভিস এরিয়া প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ একর জায়গা জুড়ে হচ্ছে। এখানে ভিভিআইপি বাংলো করা হচ্ছে। এ সার্ভিস এরিয়ার ব্যয় টানেলের প্রকল্প ব্যয়ের ভেতরেই রয়েছে। তাই আলাদা করে ব্যয় কত হবে তা জানা নেই। এছাড়া টানেলের প্রকল্পে আগে না থাকলেও পরবর্তীতে স্ক্যানিং মেশিন বসানোর পরিকল্পনা হয়েছে। স্ক্যানিং মেশিন অল্প কিছুদিনের মধ্যে বসানো হবে।’

এ সার্ভিস এরিয়া নির্মাণে কত সময় লাগবে জানতে চেয়ে কথা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস এরিয়ার কাজ এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এখন আমরা দ্রুততার সাথে কাজ শেষ করে পাবলিকের জন্য ছেড়ে দিতে চাচ্ছি। টানেলের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। টানেল উন্মুক্ত করলেও সার্ভিস এরিয়া আপাতত উন্মুক্ত করা হবে না। আমরা নির্ধারিত সময়ে এটি উন্মুক্ত করে দিলে পাবলিক নির্দিষ্ট ভাড়া দিয়ে সেখানে থাকতে বা অনুষ্ঠান করতে পারবে। তবে শেষ পর্যায়ের কাজ কোনোভাবে যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে আমরা ওখানে আপতত কাউকে এলাউ করছি না।’