আওয়ামী লীগ কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না

মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মতোই ত্রাস সৃষ্টি করেছে। নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা হয়রানির শিকার হয়েছে। তারা বিএনপির এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে জালভোটে ভোটডাকাতি করেছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ইভিএম দিয়ে ভুয়া ফলাফল তৈরি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। কারণ আওয়ামী লীগ কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। আমরা অনিয়মের এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি এবং এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
ডা. শাহাদাত গতকাল বিকালে উপনির্বাচনে ভোটডাকাতি ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চাল-ডাল, পেঁয়াজ-আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছে। সরকারি দলের মদদপুষ্ট একশ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা এবং সরকারি ব্যবস্থপনার ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান। তিনি আনন্দমুখর পরিবেশে এই ধর্মীয় উৎসব পালনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদেরকে প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, কেন্দ্রে-কেন্দ্রে ভোটডাকাতি করে ক্ষমতাসীনেরা নির্বাচনের ফল দখল করেছে। নির্বাচন কমিশনের সমর্থনে সরকার আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনের নামে একটি তামাশা হয়েছে। ভোটচুরির নতুন কৌশল আবিষ্কার করে তা প্রয়োগ করেছে। সরকারের অনুগত নির্বাচন কমিশন ভোটচুরিতে সহায়তা করেছে। ফলে সাজানো ভোটের ফলাফলের মাধ্যমে জনগণকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে। তাই এ নির্বাচনের ফল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। জালিয়াতির এ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
মহনগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সহসভাপতি মো. মিয়া ভোলা, শামছুল আলম, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, জয়নাল আবেদিন জিয়া, নাজিমুর রহমান, হারুন জামান, এস এম আবুল ফয়েজ, এস এম সাইফুল আলম, আবদুল হালিম শাহ আলম, এসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, জি এম আইয়ুব খান, শামছুল আলম ডক, খোরশেদ আলম, মো. আলী মিঠু, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, ফাতেম বাদশা, মনোয়রা বেগম মনি, শেখ নুর উল্লাহ বাহার, এইচ এম রাসেদ খান, হাজি নুরুল আকতার, ইউসুফ জামাল, অধ্যাপক ঝন্টু বড়–য়া, শহীদুল ইসলাম শহীদ, আবদুল বাতেন, মনজুর রহমান চৌধুরী, মোশারফ হোসেন ডেপুটি, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহসম্পাদক এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, জেলী চৌধুরী, রঞ্জিত বড়–য়া, আজাদ বাঙ্গালী, আবু মুছা, শফিক আহমদ, আবদুল হাই, আলী আজম, আলহাজ জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, হাবিবুর রহমান, জেসমিনা খানম, ইউসুফ সিকদার, আলী ইউসুফ, আঁখি সুলতানা, রেজিয়া বেগম মুন্নী, জাকির হোসেন, বুলবুল আহমদ, আইয়ুব খান, হাজি নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, আকতার খান, নবাব খান, রাফিক চৌধুরী, এস এম মফিজ উল্লাহ, মোশারফ জামান, মো. বেলাল, এস এম ফরিদুল আলম, ফরুক আহামদ, হুমায়ুন কবির সোহেল, জাহিদ মাস্টার, জমির আহমদ, রাসেল পারভেজ সুজন, মো. বেলাল, মো. সাইফুল, মো. শরিফুল আলম, সাদেকুর রহমান রিপন, আবুল কালাম আবু, নাছিম চৌধুরী, সাবি¦র আহমদ, জাহেদ উল্লাহ রাসেদ, জসিম মিয়া, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, এসএম আজাদ, মো. হাসান, সফিউল্লাহ, হাজি ইমরান, আশরাফ খান, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, নূর হোসেন নূরু, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, হাজি আবু ফয়েজ, মামুন আলম, সৈয়দ আবুল বসর, ফরিদুল আলম, মনজুরুল কাদের, এম এ গফুর বাবুল, মো. মুছা, নাছিম চৌধুরী, আবু সুফিয়ান, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, তোফাজ্জল হোসেন, আসাদুজ্জামান দিদার, আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দিন নাহিদ, জিয়াউর রহমান জিয়া, তানভীর মল্লিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি