অলিম্পিকের আমেজে তিন সিনেমা

সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »

জাপানে চলছে বিশ্বের সুবিশাল ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিক গেমস। আর অলিম্পিকের নানা ইভেন্ট সংশ্লিষ্ট সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানানো হয়েছে অনেক মনকাড়া সিনেমা। এমনই তিনটি সিনেমা দেখে ফেলতে পারেন সময় করে।
মার্কিন আইস স্কেটার টনিয়া হার্ডিংয়ের জীবনী নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র ‘আই, টনিয়া’। টনিয়া হার্ডিং একজন আমেরিকান স্কেটার, বক্সার ও রেসার। ফিগার স্কেটিংয়ে ১৯৯১ সালে স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। তিনি ছিলেন বিশ্বের প্রথম নারী, যিনি দু’বার ট্রিপল অ্যাক্সেল ল্যান্ডিং করতে পেরেছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যানসি কেরিগানকে হারাতে ইচ্ছাকৃত আঘাত করার জন্য তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু টনিয়া এখনও এ অভিযোগ অস্বীকার করে যান। সিনেমাটি টনিয়ার জীবনের একটি কালো অধ্যায় নিয়ে হওয়া সত্ত্বেও এটা তার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিল বেশ সিনেম্যাটিক কায়দায়। স্কেটার টনিয়ার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী মার্গট রবি।
আংশিক সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এ ছবি। আমেরিকান কোটিপতি জন এলিউথার ডু পন্ট, তার কুস্তির দলে মার্ক শুল্টজ ও তার ভাই ডেভ শুল্টজকে জায়গা দেন। ১৯৮৪ সালে অলিম্পিক গেমসে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রি স্টাইল রেসলিং পদক জেতেন দুই ভাই মার্ক এবং ডেভ। ইতিহাস গড়েন দুই ভাই। ১৯৮৩ সালে ডেভ জিতেছিলেন। মার্ক জেতেন ১৯৮৫ সালে। দুই ভাই অলিম্পিক জেতার পর তাদের মনে ডু পন্ট এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রবেশ করান হয়, যা দুই ভাইয়ের সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে দেয়। গুলি করে হত্যা করা হয় ডেভকে। মার্ক ভাবতেও পারেননি কে হবে সেই খুনি। ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি দারুণ সফল হয়েছিল। এতে অভিনয় করেছেন স্টিভ ক্যারেল, চ্যানিং টাটুম, মার্ক রাফেলো প্রমুখ।
সরাসরি খেলা নিয়ে নয়, তবে অলিম্পিকের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় নিয়ে এ ছবির গল্প। ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে ফিলিস্তিনের জঙ্গিরা ১১ জন ইসরায়েলি অ্যাথলেটকে হত্যা করে। ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তখন সেই হত্যাকারীদের মেরে ফেলার জন্য এক গোপন মিশনের অনুমতি দেন। অ্যাভনার নামের এক গোয়েন্দার নেতৃত্বে সারা বিশ্ব থেকে পাঁচ জনকে নিযুক্ত করা হয় এ প্রতিশোধ-মিশনে। এই পাঁচ জনের ভাগ্য ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের নিজেদের হাতেই। দক্ষিণ আফ্রিকার স্টিভ, বেলজিয়ামের রবার্ট, ইসরায়েলের কার্ল এবং ডেনমার্কের হান্স। তথ্যের ভিত্তিতে ইউরোপ ও লেবাননে অনেককে হত্যা করতে থাকে তারা। তাদের পেছনে লাগে কেজিবি, সিআইএ কর্মীরাও। অভিনয় করেছেন এরিক বানা, ড্যানিয়েল ক্রেইগ, সিয়ারান হাইন্ডস প্রমুখ।