অপেশাদার ঠিকাদাররা চসিকের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে

জাইকার প্রকল্প পরিচালকের সাথে বৈঠককালে সুজন

‘কিছু ঠিকাদার পেশাদার না হওয়ার কারণে করপোরেশনের চলমান উন্নয়ন কাজ সময়সীমার মধ্যে শেষ না হওয়ায় জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি ও সমালোচনা হচ্ছে। দরপত্রের মাধ্যমে কার্যাদেশ পাওয়ার পর অনেক ঠিকাদার তাদের প্রফিট মার্জিন রেখে কাজটি আরেক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেন। এতে গুণগতমান ঠিক না থাকার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করা যায় না। ফলে করপোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে।’
গতকাল জাইকার প্রকল্প পরিচালকের সাথে বৈঠককালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন এ কথা বলেন।
এ সময় প্রশাসক ৩০ ডিসেম্বর মধ্যে জাইকার অর্থায়নে চলমান পোর্ট কানেক্টিং রোডের অবশিষ্ট উন্নয়ন কাজের উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি না হলে অভিযুক্ত ঠিকাদারদের কার্যাদেশ বাতিল করতে বলেন।
তিনি গতকাল সকালে নগরীর টাইগারপাসস্থ করপোরেশন অফিসে তার দপ্তরে জাইকার প্রকল্প পরিচালক স্বাক্ষাত করতে এলে একথা বলেন। স্বাক্ষাতে নগরীতে জাইকার অর্থায়নে চসিকের উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রশাসককে অবহিত করেন জাইকার প্রকল্প পরিচালক। বৈঠকে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, জাইকার প্রকল্প পরিচালক গোলাম মোস্তফা, উপ প্রধান প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম, প্রকল্পের ডেপুটি টিম লিডার শফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে রিজিওনাল কানেকটিভিটি, ট্যানেল, মহেশ খালীর গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম নগরী দেশের শ্রেষ্ঠ শহরে পরিণত হবে। তিনি বলেন, আমাদের এই প্রিয় নগরে যা কিছু ভালো কাজ শেষ হয়েছে, তার জন্য জাইকা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কারণ তারা নগরের অনেকগুলো উন্নয়নকাজের অংশীদার। প্রশাসক নগরীতে চলমান সকল উন্নয়ন কাজের সাইড প্ল্যান প্রকল্প এলাকায় কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের মাধ্যমে টাঙিয়ে রাখতে বলেন। যাতে কাজ শেষের সময়সীমাও উল্লেখ থাকতে হবে। না হলে জনগণের মাঝে ভুল বার্তা যায় বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিজ্ঞপ্তি