অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় ধুঁকছে

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি

হুমাইরা তাজরিন »

চট্টগ্রামে শিল্প-সংস্কৃতির্চচার বিকাশের অন্যতম প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান জেলা শিল্পকলা একাডেমি ধুঁকছে নানা-অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায়। দীর্ঘদিনের এ অচলায়তন না ভাঙায় প্রতিষ্ঠানটি এখনও একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রে পরিণত হতে পারেনি।

সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

সময়ের আবর্তে ঢাকার বাইরের শিল্পকলা একাডেমিগুলোর যেভাবে আধুনিকায়ন হয়েছে সেভাবে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমির যে সংকটগুলো আছে, আমি সে ব্যাপারে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে নতুনভাবে ভবন নির্মাণের আলোচনা হয়েছে। এটা আলোচনাধীন আছে। অনেকগুলো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেটা চূড়ান্ত হবে। তাতে কিছু সময় লাগবে।’

চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি যেভাবে চলছে
পুরোনো ভবনেই চলছে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংস্কৃতির্চচা। ১৯৭৩ সালে শিল্পী রশিদ চৌধুরী ‘চট্টগ্রাম কলাভবন’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলে একই বছরের ২৩ এপ্রিল ফরাসি মনীষী মসিয় অদ্রেঁ মালরো বর্তমান চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে তৎকালীন ‘চট্টগ্রাম কলাভবন’ উদ্বোধন করেন। ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রামের তৎকালীন ডিসি হাসনাত আবদুল হাই মিলনায়তন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক নবায়নযোগ্য লিজ হিসাবে প্রদানকৃত একাডেমির বর্তমান স্থানে শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মাণ করা হয়। সর্বশেষ একাডেমির সংস্কার করা হয় ২০১৬ সালে।

চট্টগ্রাম জেলায় রয়েছে প্রায় ৩৫০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন। আর শিল্পকলা একাডেমিতে রয়েছে আড়াই হাজার প্রশিক্ষণার্থী। মিলনায়তনের মাত্র ২৫৫ জনের ধারণ ক্ষমতা। চট্টগ্রাম শিল্পকলায় অতিথিদের জন্য নেই কোনো অতিথি কক্ষ। সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থাও নেই। বিদ্যমান আর্ট গ্যালারিটিও আধুনিক নয়। যা নিয়ে শিল্পীদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। প্রক্ষালন কক্ষগুলোও সংকীর্ণ। সেখানে নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি থাকলেও ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার হিসেবে নেই আলাদা কোনো কর্নার। গেটটির বেশিরভাগ টেরাকোটা খসে পড়েছে। পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বেশিরভাগ গাড়ি পার্ক করতে হয় রাস্তায়।

একাডেমির উদ্যোগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বার্ষিক কার্য সম্পাদন নীতি ছাড়া কয়েক বছরে হাতেগোনা কয়েকটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সম্প্রতি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো না।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, শিল্পকলার বেশিরভাগ কক্ষ ব্যবহৃত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ এবং পরীক্ষার হল হিসেবে। আবার ক্লাস, মহড়া বা অনুষ্ঠান না থাকলে বিকেল ৫টা বাজলেই সেখানে প্রবেশে থাকে নিষেধাজ্ঞা।

সাড়ে ৩শ’টি সংগঠন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বেশিরভাগ সময় মিলনায়তন বা মঞ্চ ভাড়ার সিডিউল পায় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সংগঠন প্রধান বলেন, ‘এখানে সাংস্কৃতিকসহ রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছে। যাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বা যারা টাকা বেশি দিচ্ছে তাদেরকেই অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়। যার থেকে যেমন পারছে সেভাবেই ভাড়া নিচ্ছে। ফলে টাকাটা কি আদৌ ডিসি বরাবর যাচ্ছে কিনা আমরা জানি না। কাউকে রশিদ দিচ্ছে কাউকে দিচ্ছে না। যদি পে-অর্ডার সিস্টেম হয়ে যেতো হলে আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারতাম।’

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির লাইটগুলো ভালো না। অতিরিক্ত আলো চাইলে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়। আগে বিকেলে আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা একত্রিত হয়ে শিল্পকলাতে আড্ডা দিতাম কিন্তু এখন সেটাতেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’

অন্তত ৫শ’ থেকে ৭শ’ মানুষের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক মিলনায়তনের সুযোগ-সুবিধা দাবি করে প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা রাশেদ হাসান বলেন, ‘পর্যাপ্ত আলো, সাউন্ড, চেয়ার, সাউন্ডপ্রুফ সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলো থাকা প্রয়োজন। আর্ট গ্যালারিটি আধুনিক নয়, সেটি আধুনিকায়ন হতে হবে। আমাদের পর্যাপ্ত মহড়া কক্ষ প্রয়োজন। বর্তমানে যে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সেটাও আয়ত্ত্বে আনা প্রয়োজন। শিল্পকলার কাজ তো কেবল শিক্ষাকেন্দ্র চালানো নয় বরং একাডেমির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার, মিটিং এসব আয়োজন করাও প্রয়োজন। এরজন্যেও আলাদা হল প্রয়োজন। তবে আমাদের পর্যাপ্ত জায়গা শহরে নেই। তাই আমাদের নীতি নির্ধারকেরা বর্তমান জায়গাটাকেই বহুতল ভবন করে যদি ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আমি মনে করি সেটা সম্ভব। দেশের বাইরে বা জেলার বাইরে আসা অতিথিদের জন্য আলাদা কক্ষ প্রয়োজন। যাতে আমাদের শিল্পকলার বাইরে বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে হোটেল কক্ষ বুক করতে না হয়।’

শিল্পকলার বর্তমান ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে নাট্য গবেষক ড. ইউসুফ ইকবাল বলেন, ‘হলের পরিবেশটা পরিবর্তন করা দরকার। সাউন্ড সিস্টেমের মধ্যে অনেক সময় রেডিও’র অনুষ্ঠান শোনা যায়। আবার দেখা যায় যে, ছোট অনুষ্ঠান করতে হলে মুক্তমঞ্চের সাথে অডিটোরিয়ামসহ ভাড়া নিতে হয়। এতে দুটি অনুষ্ঠান উপভোগ করা থেকে দর্শক বঞ্চিত হচ্ছে। এই বিষয়টা যদি নীতিমালায়ও থেকে থাকে তাহলে আমার মনে হয় যে এটা নিয়ে ডিসি সাহেবসহ বসে পুনরায় চিন্তাভাবনার প্রয়োজন। দুটো জায়গা প্রয়োজন না থাকলেও ভাড়া নিতে বাধ্য হচ্ছে এর কারণে যেমন বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তেমনি সেদিন অন্য সংগঠন চাইলেও অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারছে না। আগে শিল্পকলার মাঠেই শিল্পীরা আড্ডা আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকা-ের উদ্যোগ নিতো, কিন্তু এখন সে সুযোগটা কমে এসেছে। অনুষ্ঠান না থাকলে মাঠে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকে। শিল্পীদের অবাধ বিচরণের সুযোগ থাকলে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।’

এসব অভিযোগের জবাবে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন বলেন,‘ আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আমাদের লাইট যা আছে তা পর্যাপ্ত। বরং চট্টগ্রামে যতগুলো হল আছে তার থেকে বেশি আছে। এরপরও যদি কেউ বলে যে তার অতিরিক্ত লাইট লাগবে তাহলে সে সেটা বাইরে থেকে কিনে নেবে। সপ্তাহে ৫দিন থাকে প্রশিক্ষণ ক্লাস, তারপরে থাকে মহড়া, তখন তো যে কেউ ঢুকতে পারে। নিয়মিত তো আমাদের অনুষ্ঠানও থাকে। কেবল সরকারি ছুটির দিনগুলোতে শিল্পকলা বন্ধ থাকে। স্টাফরা ছুটিতে থাকে। অনুষ্ঠান থাকলে আমরা অন্যদিন ছুটি নিই। ছুটির সময় খোলা রাখলে দেখা যাবে সংস্কৃতি অঙ্গনের না এমন মানুষও এসে এখানে ভিড় করবে তাই বন্ধ থাকে। কিন্তু সেটা তো প্রতিদিন না। ভাড়া নীতিমালায় যা আছে তা-ই। এরচেয়ে বেশি নেওয়া হয় না। সেটার রশিদ দেওয়া হয়। বার্ষিক কার্যসম্পাদন নীতিতে নির্ধারিত আয়োজন ছাড়াও গত ৪ বছরে ৩টা নাট্যপ্রদর্শনী করেছি। বর্ষার অনুষ্ঠান করেছি, চারুকলা প্রর্দশনী করেছি, ক্ল্যাসিকাল নাচের অনুষ্ঠান করেছি, বঙ্গবন্ধুর কবিতার আবৃত্তির অনুষ্ঠান করেছি।’

বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠান করতে না পারার অভিযোগ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু বলেন, আমাদের ৩৫০টা সংগঠন মাসে ৩০ দিনই অনুষ্ঠান করে। আবার কারো কারো ২-৩দিন ব্যাপী উৎসবও থাকে। সেক্ষেত্রে অন্যরা সুযোগ পায় না। এদিকে ডিসি হিলও বন্ধ। তাহলে এতোগুলো সংগঠন যাবে কোথায়?

ভবন স্থানান্তর নিয়ে মতবিরোধ
জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু জানান, একটি বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা পাশ করা আছে। কিছুদিন আগেও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যদি বর্তমান বিল্ডিং ভেঙে নতুন বিল্ডিং করা হয় তাহলে শিল্পকলার কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। তাই আমরা চাইছি যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুসলিম হলটি চালু করে শিল্পকলাকে সেখানে স্থানান্তর করা হোক। সেখানে ৩টি হল আছে আমাদের ৩শ’ ৫০টি সংগঠন সেখানে তাদের সুবিধামতো অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে। এছাড়া অক্সিজেনের দিকে বা শহরের বাইরে যদি কিছু শিল্পকলার উপশাখা করে দেওয়া হয় তাহলে সেখানকার মানুষও সংস্কৃতির্চচায় অগ্রসর হতে পারে।’

এ প্রসঙ্গে নাট্যব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন,‘ মুসলিম হলের জায়গাটা কি খালি? সেখানে ২টা হল আছে তার মধ্যে ১টি এক্সপেরিমেন্টাল হল। আরেকটা মিলনায়তন। সেটার খরচ তো অনেক। এই খরচ কি শিল্পকলা একাডেমি বহন করতে পারবে? তাছাড়া সেটার তো আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। সেটার যে ২৭১ কোটি টাকার কাজ তা এখনও শেষ হয়নি, তাই এখনও হস্তান্তর হয়নি। তাছাড়া এটা হলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটা প্রজেক্ট। যেমন জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা, পাবলিক লাইব্রেরি ,বাংলা একাডেমি। এগুলোর আলাদা অর্ডিনেন্স আছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমি হলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির একটা জেলা উইং। সেক্ষেত্রে মুসলিম হল কি চাইলেই জেলা প্রশাসনের অধীনে যেতে পারে? যদি সেটা কোনোভাবে সম্ভব হয় আমার তো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। কিন্তু বাস্তবতাও বিবেচনা করতে হবে।’

এ ব্যাপারে নাট্যব্যক্তিত্ব প্রদীপ দেওয়ানজী বলেন, জেলা শিল্পকলাতে ৪হাজার ৭শ’ টাকার মতো ভাড়া। তাও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের অর্ন্তভুক্ত সংগঠনগুলোর জন্য। ফোরাম বা ফেডারেশনের অর্ন্তভুক্ত সংগঠন হলে কিছুটা ছাড় পায়। এই ভাড়াটাও কমানো প্রয়োজন। আর যদি নতুন ভবনের কাজ শুরু হয় তখন শিল্পকলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তো কোথাও স্থানান্তর হতে হবে। ভাড়া কম রেখে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মুসলিম হল ভাড়া নিয়ে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। সেক্ষেত্রে ভাড়া কমাতে হবে। নতুন ভবনে হল সংখ্যা বাড়াতে হবে, ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে, লাইব্রেরি এবং গেস্টরুমের ব্যবস্থা থাকতে হবে। অক্সিজেন, হালিশহর, পতেঙ্গার দিকে যদি মিলনায়তন করে দেওয়া হয় আমরা সেখানে গিয়ে নাটক করতে পারব।’

চট্টগ্রাম শিল্পকলা ও নতুন ভবনগুলোর তুলনামূলক চিত্র
জানা যায়, ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল জেলা শিল্পকলা একাডেমির আটটি নব নির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এগুলো হচ্ছে : কুষ্টিয়া, খুলনা, জামালপুর, নারায়নগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং রংপুর। এসব ভবনগুলো আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বৃহৎ পরিসরের বহুতল ভবন। এর মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ মানুষের জেলা খুলনার শিল্পকলা একাডেমির ৪ তলা ভবনটি নির্মিত হয়েছে ১ একর জায়গার ওপর। ভবনের সামনে বৃহৎ নাট্যমঞ্চকে ঘিরে বসার জন্য মনোরম উন্মুক্ত গ্যালারি। সুবিশাল শ্রেণিকক্ষ, মহড়া কক্ষ ও গেস্টরুমসহ সব আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।

অথচ ভবন অনুযায়ী এসব এলাকায় প্রশিক্ষণার্থী সংকটই প্রবল। দুই ব্লকের ৪ তলা এই ভবনে ৬টি বিভাগে প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে মাত্র ২১৭জন। সাংস্কৃতিক সংগঠনও রয়েছে হাতেগোনা।