অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে ১১ নির্দেশনা

ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক »

নগরের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা ও জনসচেতনতা বাড়াতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এসময় তিনি অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা জোরদার করতে ১১টি নির্দেশনা প্রদান করেন। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা আয়োজিত হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ব্যবসায়ী সমিতি ও প্রতি ব্যবসায়ীকে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ প্রদান করছি। সভার আলোচনা থেকে ১১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফায়ারের বিষয়ে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ/প্রতিটি ব্যবসায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রথম সিদ্ধান্ত হলো- প্রতিটি দোকানের ফায়ার লাইসেন্সসহ ফায়ারের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষণ করতে হবে। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র হালনাগাদ (সচল) থাকতে হবে। দোকানদার/কর্মচারীগণকে ফায়ার সার্ভিস হতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ফায়ার হাইড্রেন ব্যবহার করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, প্রতিটি মার্কেট সমিতিকে অগ্নি নির্বাপণসহ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় নিজস্ব প্ল্যান থাকতে হবে। তৃতীয়ত, মার্কেট সমিতি বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামরা লাগাবে। সিসিক্যামরা নজরদারির জন্য মার্কেট সমিতি ৩-৪ জন কর্মচারী নিয়োগ দেবেন। উক্ত কর্মচারীগণ পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন। চতুর্থত, ডিস ও ইন্টারনেটের লাইন আন্ডারগ্রাউন্ডে নেয়ার জন্য মার্কেট সমিতি কর্তৃক ডিস ও ইন্টারনেটের মালিকগণকে অনুরোধ করবেন।’

বাকি সিদ্ধান্তসমূহ হলো- ব্যক্তিমালিকানাধীন মার্কেট, সিটি করপোরেশন, সিডিএ এর নিয়ন্ত্রাণাধীন মার্কেটসমূহের ব্যবসায়ী সমিতির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া- যাতে মার্কেটে রিজার্ভ টাংকি, গাড়ি পার্কিং এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। প্রতিটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতি তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিজ নিজ বাজারে ভোলান্টিয়ার নিয়োগ করবে। তাঁরা মার্কেট/বাজার পরিদর্শন করে স্ব-স্ব বাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিকে নিরাপত্তার তথ্য জানাবে। ফুটপাত অবমুক্ত করার জন্য সিটি করপোরেশনকে পত্র প্রেরণ করা হবে। বৈদ্যুতিক লাইনের তার সময় উপযোগী করার জন্য বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে পত্র পাঠানো হবে। জহুর হকার্স মার্কেট দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় উক্ত দুটি পাহাড় হতে বড় বড় ট্যাংক বসানোর জন্য মার্কেট প্রতিনিধি নিজস্ব ব্যবস্থাপনা এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। মহানগর এলাকার পুকুরগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। পুকুরগুলো অবৈধ দখলদার মুক্ত করে চারদিকে হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করার বিষয়ে পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে নিয়ে একটি টিম গঠন করা হবে।’

সভায় চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রতিনিধি হিসেবে সংগঠনটির পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, জহুর হকার্স মার্কেট, রিয়াজুদ্দিন বাজার, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, টেরিবাজারসহ বিভিন্ন মার্কেটের নেতৃৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।