সুপ্রভাত ডেস্ক »
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের প্রভাবশালী তিন সদস্য কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার দিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনের সেই অনুষ্ঠানের পরের দিন সোমবার (১০ জুন) সোনিয়া গান্ধী সাক্ষাৎ করলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে । দীর্ঘদিন পর এই মুখোমুখি সাক্ষাতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন দুজনেই।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস চেয়ারপার্সনের এই মৈত্রীর ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়।
দিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সোমবার দুপুরে সেখানেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কংগ্রেস হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। হোটেলে দুই সন্তান-সহ সোনিয়াকে দেখে আনন্দে জড়িয়ে ধরেন তিনি। তিন জনের সঙ্গেই কুশল বিনিময় করেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘক্ষণ খোশমেজাজে গল্পও করেন তারা। গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে এর পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
সাক্ষাতের পর সোশাল মিডিয়ায় সে কথা প্রকাশ্যে আনেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি জানান, আজ দুপুরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, ও কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিশ্বাস, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক উন্নতির প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে ভারত ও বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সেই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার বাংলাদেশের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে; যা দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাবোধের দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তি তৈরি করে দেয়। কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলেও গান্ধী পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক শেখ হাসিনার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। সেই সুবাদেই গান্ধী পরিবারের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্ক আত্মীয়ের মতো। এবং তা আজও অটুট। ফলে যত বারই তিনি ভারতে এসেছেন চেষ্টা করেছেন গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের। এবার দিল্লি এসে সে সুযোগ হাতছাড়া করলেন না বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।