সুপ্রভাত ডেস্ক :
পরিচালকের মুকুট পরেছিলেন ‘মণিকর্ণিকা…’ ছবিতেই। তবে সে ছবিতে সহ-পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন কৃষ। এ বার একাই ময়দানে নামলেন কঙ্গনা রানাউত। তুলে নিলেন বাবরি কাণ্ড নিয়ে ছবি পরিচালনার গুরুদায়িত্ব। ছবির নাম ‘অপরাজিত অযোধ্যা’। শুধু পরিচালকের দায়িত্বই নয়, কঙ্গনা এই ছবির প্রযোজকও।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, প্রথমে ছবিটি পরিচালনা করার কোনও ইচ্ছেই তার ছিল না। ইচ্ছে ছিল, শুধু প্রযোজনাতেই সীমাবদ্ধ থাকবেন তিনি। কিন্তু চিত্রনাট্যকার কেভি বিজয়প্রসাদ যখন স্ক্রিপটি তার কাছে নিয়ে আসেন কঙ্গনার মনে হয়েছিল, তিনিই এই ছবির পরিচালনা করলে বিষয়টি আরও ভাল ভাবে ব্যক্ত করতে পারবেন। প্রথম বার একা পরিচালকের আসনে, বাবরি কাণ্ডের মতো একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে ছবি করতে গিয়ে নার্ভাস কতটা? এ প্রশ্নের উত্তরে কঙ্গনার জবাব, ‘পরিচালকের ভূমিকায় প্রথম বার একা। তাই তা নিয়ে ভয় হলেও আমি মনে করি না বাবরি কাণ্ড আদপে একটি বিতর্কিত বিষয়। বরং এ এক ভালবাসা বিশ্বাস এবং এক হয়ে ওঠার গল্প।’
রাম জন্মভূমি এবং বাবরি মসজিদ বিতর্ক ভারতের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যে অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল প্রায় ১৩৪ বছর আগে। ১৫২৮ খ্রিষ্টাব্দে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ তৈরি করেন মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মির বাকি। মুঘল যুগ শেষ হওয়ার পর ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ফৈজাবাদের জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে রামজন্মভূমি এবং বাবরি মসজিদের বিতর্কিত কাঠামোর বাইরে শামিয়ানা তৈরি করে রামলালার মূর্তি স্থাপনের আবেদন জানান রুঘুবীর দাস। যদিও সেই আর্জি খারিজ করে দেয় তৎকালীন ব্রিটিশ আদালত।
এর পর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের এই বিতর্কিত কাঠামোর মালিকানা দাবি চলতে থাকে। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ করসেবকদের হামলায় ধূলিসাৎ হয় বাবরি মসজিদ। এর পর নানা তর্ক, বিতর্ক, দাঙ্গার পর অবশেষে ৯ নভেম্বর ২০১৯ সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির তৈরি হবে। এবং মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে।
খবর : আনন্দবাজার’র।
বিনোদন