৫০ গর্ত সংস্কারে জেটিতে স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভেড়ানো বন্ধ

চট্টগ্রাম বন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক »
জেটি সংস্কারে জেনারেল কার্গো বার্থে স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভেড়া বন্ধ করলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি হঠাৎ করে বন্ধ না করে কিছুটা সময় দিয়ে বার্থিং বন্ধ করা যেতো। এতে বিদেশ থেকে স্ক্র্যাপবাহী জাহাজের অর্ডার কমিয়ে দেয়া যেতো। তবে দেশের স্বার্থে এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে টিকিয়ে রাখতেই স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ জিসিবিতে (জেনারেল কার্গো বার্থ) ভেড়ানো বন্ধ করা হয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহাজাহান বলেন, জিসিবিতে ( ১ থেকে ৭ নম্বর জেটিতে) ৫০টি গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্তগুলো বড় হয়ে যাওয়ায় জেটির রডও বেরিয়ে গেছে এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। তখন এসব জেটিতে আর জাহাজ ভেড়ানো যাবে না। তাই দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের স্বার্থে শুধুমাত্র স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভেড়ানো বন্ধ করে অন্যান্য সকল পণ্যবাহী জাহাজ এখানে ভেড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।
স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভেড়ানোর বিকল্প কি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘ বন্দরের বহিনোর্ঙ্গরে, কর্ণফুলী জেটিতে, ড্রাইডক জেটিতে এবং কনটেইনারের মাধ্যমে স্ক্র্যাপ আনতে পারবে। তাই স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসা বন্ধ থাকবে না, শুধু ভেড়ানোর জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে বন্দরের স্বার্থে।’ েেজটিতে এসব বড় বড় গর্ত কেন তৈরি হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ৭০ বছরে জেটি সংস্কার হয়নি। কয়েকবছর ধরে স্ক্র্যাপবাহী জাহাজগুলো থেকে পণ্য নামানোর সময় জেটির ক্ষতি হয়েছে। এজন্য জেটিতে স্টিলের কাঠামো তৈরির কথাও বলেছিলাম। এখন ২ ও ৩ নম্বর জেটিতে স্টিলের কাঠামো করা হবে এবং সেখানেই শুধু স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভিড়তে পারবে।
এই সংস্কার কার্যক্রম করতে কি পরিমাণ সময় লাগতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৮ দিন সময় লাগতে পারে। ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। ২৮ দিন পর আবারো স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ নির্ধারিত জেটিতে ভিড়তে পারবে।
এদিকে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন,‘ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হলো এখন থেকে স্ক্র্যাপবাহী জাহাজ ভিড়তে দেয়া হবে না। কিন্তু আমাদের তিনটি জাহাজ বহিনোর্ঙ্গরে রয়েছে। এগুলো কোথায় ভিড়বে?’
তিনি আরো বলেন, একটি আন্তর্জাতিক বন্দরে এভাবে জাহাজ ভেড়ানো বন্ধ করা যায় না। এক থেকে দেড় মাস সময় দিতে হয়। তাই আমরা প্রস্তাব দিয়েছি আমাদের সময় দিয়ে জাহাজ ভেড়ানো বন্ধ করা হোক।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের ৯৩ শতাংশ আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবাহিত হয়। তাই বন্দরের কার্যক্রম সবসময় গতিশীল রাখতে হবে।