হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগী। ডিসেম্বর মাসে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে জানুয়ারির ১৬ দিনে। করোনার প্রভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালমুখী হচ্ছেন মানুষ।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল, ফৌজদারহাট বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, সিএমপি বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালে কোভিড ভর্তিসহ চিকিৎসাসেবা নেওয়া রোগীদের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর মাসে এ পাঁচটি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন মোট ১ হাজার ৬৭৬ জন। চিকিৎসাসেবা নিতে মাসজুড়ে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৩৫০ জন। এদের মধ্যে সাধারণ বেডে সেবা নিয়েছেন ১ হাজার ৩৭০ জন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১৮৬ জন। হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাসেবা নেন ১২০ জন। কোভিড মুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৮৩ জন।
অন্যদিকে, জানুয়ারি মাস ঢুকতেই বেড়ে গেছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। মাসের শুরু থেকে গতকাল রোববার পর্যন্ত এসব হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ১ হাজার ৭৬০ জন। গত ১৬ দিনে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৯৭ জন। গতকাল রোববার নতুন ভর্তির সংখ্যা ছিল ৫৩ জন। এদের মধ্যে সাধারণ বেডে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ হাজার ৫৩৬ জন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১৫৩ জন। হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ৭১ জন। কোভিড মুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৯৪ জন।
গতকাল রোববার চমেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছে ৩৩ জন, বিআইটিআইডিতে ৩ জন, জেনারেল হাসপাতালে ৫ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১২ জন। একই সময়ে ৩১ জন হাসপাতাল ছেড়েছেন।
এ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পুরো ডিসেম্বর মাসে যে সংখ্যক রোগী হাসপাতালগুলোতে কোভিড চিকিৎসা নিয়েছেন তার চেয়ে বেশি চলতি মাসের ১৬ দিনে। শনাক্তের সঙ্গে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়লেও শনাক্ত অনুযায়ী ভর্তি সংখ্যা অনেকাংশে কম রয়েছে। তবে এসব হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকেও রোগীরা আসছেন। বেশিরভাগ প্রাইভেট হাসপাতালে করোনা রোগীরা চিকিৎসা নেওয়ায় সরকারি হাসপাতালগুলো কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে ফ্লু বর্তমান চলমান রয়েছে তাতে হাসপাতালগুলোতে তুলনামূলকভাবে রোগী কম ভর্তি হচ্ছে। মানুষ ঘরে আইসোলেশনে থাকছেন। তবে করোনা শনাক্ত খুব দ্রুত বাড়ছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী সুপ্রভাতকে বলেন, ‘গত ডিসেম্বর মাসের তুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একই সাথে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। গত মাসের তুলনায় ভর্তি রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে।’