স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুবিধাভোগীদের বলি কর্ণফুলী

অনশন কর্মসূচিতে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক »

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন কর্ণফুলী নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে।

কর্মসূচি পালনকালে আন্দোলনকারীরা বলেন, উচ্ছেদে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুবিধাভোগীদের অসাধু একটি চক্রের বলি হচ্ছে কর্ণফুলী নদী। তারা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব বিস্তার করায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হচ্ছে না বলে দাবি করেন। গতকাল বুধবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চাক্তাই খালের মোহনায় অনশন ধর্মঘট পলিত হয়। স্থানীয় সাম্পান মাঝিরাও এতে অংশ নেন ।

নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, ‘হালদার মোহনা থেকে বঙ্গোপসাগরের কর্ণফুলীর মোহনা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এলাকায় তিন হাজারের বেশি অবৈধ দখলদার কর্ণফুলী নদী দখল করে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা এই দখলের সঙ্গে জড়িত। এসব অসাধু চক্র প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব বিস্তার করার কারণেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হচ্ছে না। কিন্তু এই অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই কর্ণফুলী তার স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ হারাবে।’

তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা এই ধর্মঘট পালন করছি। মঙ্গলবার নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কিন্তু আমরা চাই দ্রুততার সাথে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে কর্ণফুলী নদীর গতি প্রবাহ যেন অক্ষুণœ রাখা হয়।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য দিলরুবা খানম, পরিবেশ সংগঠক নেছার আহমেদ খান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি জাফর আহমদ, সহসভাপতি লোকমান দয়াল, সদস্য মিজানুর রহমান, সংগঠক আরমান হায়দার, সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদসহ প্রমুখ।