সেই জ্যোতির গল্প নিয়ে আসছে ‘সাইকেল গার্ল’

সুপ্রভাত ডেস্ক :
এক দুই কিলোমিটার নয়, ১২শ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে গ্রামে ফিরেছিল কিশোরী জ্যোতি। সাইকেলের পেছনে ছিলেন তার অসুস্থ বাবা। টানা সাতদিন সাইকেল চালাতে হয়েছে তাকে। মাঝে কিছুটা বিশ্রাম নিলেও দুদিন মুখে জোটেনি খাবার। এমনই মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যে ১৫ বছরের মেয়ে জ্যোতি কুমারীর জীবনে। তার এই লড়াইয়ের গল্প এবার দেখা যাবে বলিউডের পর্দায়।
বলিউড পরিচালক বিনোদ কাপড়ি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। সিনেমার নাম হবে ‘সাইকেল গার্ল’। ইতোমধ্যে জ্যোতির পরিবারের লোকের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, গুরুগ্রামে রিকশা চালাতেন জ্যোতির বাবা মোহন পাসওয়ান। মার্চ মাসের দিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। এরপর জ্যোতি গ্রাম থেকে বাবার কাছে যায়। কিন্তু তার পরই কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় গুরুগ্রামে আটকে পড়ে যায় কিশোরী জ্যোতি। আস্তে আস্তে জমানে টাকাও শেষ হতে থাকে। বাড়ি ভাড়া বকেয়া পড়ে যাওয়ায় বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে বাড়িওয়ালা। এ রকম পরিস্থিতিতে বাবাকে নিয়ে গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জ্যোতি।
৫০০ টাকা ধার করে একটি সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেল কেনে সে। ওই সাইকেলে বাবাকে চাপিয়ে ১২শ’ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দেয় এই সাহসী মেয়ে। প্রথমে বাবা মোহন পাসওয়ান মেয়েকে বাধা দিয়েছিলেন। কারণ কাজটা অসম্ভব বলেই মনে হয়েছিল তার। তবে জ্যোতি সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখায়। ১২শ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গ্রামে পৌঁছায় সে।
পরিচালক বিনোদ কাপড়ি বলেন, ‘লকডাউনে যেসব শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চেপে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তাদের ওপর শর্ট ফিল্ম বানাচ্ছি। আমি এরই মধ্যে জ্যোতির ওপর একটি সিনেমা বানানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। আমি জ্যোতির বাবার কাছ থেকে অনুমতিও নিয়েছি।’
খবর : জাগোনিউজ’র।