সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটে বিতর্কে

বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘বিতার্কিকদের সবকিছুই জানতে হবে। কেননা বিতার্কিকরা না জেনে তর্ক করতে পারে না। তাদের ধর্ম নিয়ে যেমন জানতে হবে, বিজ্ঞান নিয়েও জানতে হবে। একজন বির্তাকিকই এসব বিষয়ে যথাযথভাবে অধ্যয়ন করে গঠনমূলক আলোচনা করতে পারে।’
গতকাল বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ড্রামা স্টুডিওতে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিতর্ক মানুষকে সৃজনশীল হতে সাহায্য করে। আর ইংরেজি বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যেমন যোগাযোগ দক্ষতা বাড়বে, তেমনি তাদের মধ্যে গবেষণা চর্চাও বাড়বে। এছাড়া এই ধরনের বিতর্ক প্রতিযোগিতা তাদের একাডেমিক জীবনে সহায়ক হবে। চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় পর্যায়ে এ ধরনের ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রামসহ সারা দেশের ৬৯টি স্কুল থেকে আবেদন জমা হয়। নির্বাচিত ৬৪টি স্কুল এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। এতে ছাত্রীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য থাকায় শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রীদের অংশগ্রহণ দেখে খুব ভালো লাগছে। একজন শিক্ষিত মা একটি শিক্ষিত পরিবার ও একটি শিক্ষিত জাতি গঠন করতে পারে। তাই ছাত্রীদের অংশগ্রহণে আরও সুযোগ করে দিতে হবে।’
বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র আয়োজিত প্রথম আন্তঃস্কুল ইংরেজি জতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতর উদ্বোধন করা হয়। বিটিভি উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) অনুপ কুমার খাস্তগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মিয়ানমারের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আকতার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সাধারণত জাতীয় পর্যায়ে বাংলা বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয়ে থাকলেও এ ধরনের ইংরেজি বিতর্ক খুবই কম হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভাষাগত ও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়বে বলে মনে করেন বক্তারা। চট্টগ্রামসহ সারা দেশের ৬৪টি স্কুল এই ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠান প্রযোজনা করছেন ইলন সফির।