সুবর্ণজয়ন্তীতে বড় অর্জন উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ

নগর আওয়ামী লীগের সভায় বক্তারা

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসরদের ক্ষমতার কুক্ষিগত করার সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে না পারলে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাদের বেঁচে থাকার কোন অর্থ নেই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর ধরে বাংলাদেশকে আবারো পাকিস্তান বানানোর জন্য একে একে মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনগুলোকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিলো। এমনকি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের আত্মস্বীকৃত খুনিদের ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিচার রহিত করে তাদেরকে বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। সেই ষড়যন্ত্র কিছুতেই ভুলার নয়। তাই ৭১’র পরাজিত শক্তির পেতাত্মারা ডালপালা মেলে বেড়ে উঠার আগেই উপড়ে ফেলতে হবে।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন ও গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির  বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। দেশে দারিদ্রের কালিমা নেই বললেই চলে। বিশ্বে বাংলাদেশ আজ চমক জাগানো উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথমত বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং এটাও বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি হলেও আমরা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে পারিনি। কেন পারিনি তার প্রধান কারণ ৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ফলে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই অর্থনৈতিক মুক্তি সাধিত হতো। তিনি স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে পথেই এগুচ্ছিলেন এবং কৃষি, শিক্ষা, শিল্পখাতে নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিলেন। কারণ বঙ্গবন্ধু আমৃত্যু শোষিতের মুক্তির কথা ভাবতেন।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আজ যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেন তারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তৃতায় অনেক কথা বলেন। যা ক্ষেত্রবিশেষে বিভ্রান্তিও ছড়ায়। এভাবেই ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ইলিয়াছ, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, মো. মোমিনুল হক, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, চসিক প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

সভার প্রারম্ভে ৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ এবং সম্প্রতি করোনাকালে মৃত্যুবরণকারী দলের নেতাকর্মীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি