সীতাকুণ্ডে ২২৪ জনকে আসামি করে মামলা

চলন্ত লরিতে পেট্রোল বোমা

নিজস্ব প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড »

সীতাকুণ্ডে একটি রডবাহী চলন্ত লরিতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে আগুনে দগ্ধ করার ঘটনায় ২২৪জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে দগ্ধ লরির সুপারভাইজার মিনার উদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।মামলা পরবর্তী ১৪জনকে গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার দুপুর তিনটায় অবরোধের দ্বিতীয় দিন পন্থিছিলা এলাকায় ঢাকামুখী সড়কে সাংসদ দিদারুল আলমের মালিকানাধীন লরিতে দুইজন দুবৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। লরিটি সম্পূর্ণ দগ্ধ হয়, এই ঘটনায় রাতে বিএনপি জামাতের ২৪জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০০ কর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের রাতভর অভিযানে ১৪জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হল, সীতাকুণ্ড পৌরসভার মহাদেবপুর এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র মো.মামুন উদ্দিন (৩৪), দুলাল মিয়ার পুত্র মো.আকবর হোসেন ওরফে হোসেন (৩০) ইউসুফের পুত্র রবিউল হোসেন সাইমন (২২), মনিরুজ্জামানের পুত্র নুরুল আবছার শিপন (২১), আবুল খায়ের এর পুত্র ইমরান হোসেন (২৬),মৃত খায়েরুল্লার পুত্র মো.ওবায়দুল হক (৫৮) পন্থিছিলা এলাকার ফয়েজ আহাম্মদের পুত্র, মো.নুর সোলাইমান (৫২), পশ্চিম আমিরাবাদ এলাকার আনোয়ার ইসলাম সওদাগরের পুত্র মো.আব্দুল মোতালেব (৪৬) সৈয়দপুর ইউনিয়নের জাফরনগর এলাকার শাহ আলমের পুত্র মো.হেলাল উদ্দিন (৪৫), পূর্ব সৈয়দপুর এলাকার মৃত মনির আহাম্মদের পুত্র মো.সিরাজুল ইসলাম (৫৫), বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের শাহ আলমের পুত্র মো.শামসুল আলম (৫০), মুরাদপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকার খোকন চন্দ্র্র দাশের পুত্র ইমন চন্দ্র দাশ (২০), সলিমপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সলিমপুর এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র মো.ইমামুল হক রুবেল (৩০), ও সমাদার পাড়া এলাকার আলী আজম এর পুত্র মো. সবুজ (৪১)।

গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছেএবং গ্রেফতারকৃত আসামিরা বিএনপির সক্রিয় কর্মী বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার এসআই নাসির উদ্দিন।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, অবরোধকালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পন্থিছিলা এলাকায় সাংসদ দিদারুল আলমের ব্যবসায়িকপ্রতিষ্ঠান দিদারুল আলম অ্যান্ড ব্রাাদার্স (ডিএবি) এর একটি রডবাহী চলন্ত লরিতে অবরোধকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনার মামলায় এদের গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।