সাতকানিয়া পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি

দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া :
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে সাতকানিয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাশ ও হিসাব রক্ষক এএইচএম আলমগীরকে বদলির আদেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব। গত বুধবার এ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের রংপুর ও দিনাজপুর জেলার দু’পৌরসভায় বদলি করা হয়।
অন্যদিকে, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের কয়েকদিন পর সাতকানিয়া পৌর মেয়র কাউন্সিলর একেএম মোর্শেদকে প্রধান করে এবং কাউন্সিলর নেছার আহমদ চৌধুরী ও সাইফুল আলম সোহেলকে নিয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট ১টি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটি এখনো রিপোর্ট প্রদান করেননি বলে জানান মেয়র।
এদিকে পৌরসভাবাসী যারা এ দুজনের দুর্নীতির কারণে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তারা এ বদলি আদেশকে আইওয়াশ বলে মন্তব্য করেছেন।
জানা যায়, সাতকানিয়া পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাশ ও হিসাব রক্ষক এএইচএম আলমগীরের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে নামে বেনামে অস্বাভাবিক লেনদেন নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘দুজন সরকারি স্টাফের একাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন’ সাতকানিয়া পৌরসভার দু’কর্মকর্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনসহ বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। পরে মন্ত্রণালয় থেকে সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়েরের নিকট টেলিফোনে ব্যাখ্য চাওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মেয়রকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে মেয়র তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে পত্র প্রেরণ করেন এবং ব্যক্তিগতভাবে মেয়র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের সাথে দেখা করেন।
ফলে গত বুধবার (১৪ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে সহকারী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ দাশকে রংপুর জেলার হারগাছা পৌরসভা ও হিসাব রক্ষক এএইচএম আলমগীরকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌরসভায় বদলির আদেশ জারি করেন। সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের সাতকানিয়া পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বদলির আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মন্ত্রণালয়ের আদেশে কাউন্সিলর একেএম মোর্শেদকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট ১টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলেই তা মন্ত্রণালয়কে প্রেরণ করা হবে।