শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি

নাগরিক সংহতি সমাবেশ

স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে ১ জুন এর মধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে নাগরিক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাগরিক সমাবেশে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ সংহতি জানান সমাজের বিভিন্ন স্তরের নাগরিক বৃন্দ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঋজু লক্ষèী অবরোধ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর, জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, মোহসেন আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও বাকবিশিস চট্টগ্রাম জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক অয়ন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মো. নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর তথ্য প্রযুক্তি সচিব ইঞ্জিনিয়ার হোসাইন মুরাদ, সাবেক কাউন্সিলর জান্নাত ফেরদৌস পপি, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর নির্বাহী সদস্য সাইফুল্লাহ মনির, মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন, অভিভাবকদের পক্ষে শাহীন মঞ্জুর, সুইডিশ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর শিক্ষার্থী অয়ন সেন গুপ্ত।
সমাবেশে সংহতি জানান কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, চবি দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাছুম আহমেদ, মাইদুল ইসলাম, নিজামপুর কলেজের অধ্যাপিকা নিজামপুর কলেজের অধ্যাপিকা শিলা দাশ গুপ্তা, রোজি সেন, সাংবাদিক প্রীতম দাশ, শিক্ষক শহীদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট বিষুময় দেব, অ্যাডভোকেট আমির আব্বাস তপু, প্রফেসর তুষার কান্তি বড়ুয়া, সুবর্ণা আক্তার, প্রবাল মজুমদার, ইকবাল বাহার, অ্যাডভোকেট ভুলন ভৌমিক, বাকবিশিস এর সাধারণ সম্পাদক বশিউদ্দিন কনক। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহ মোহাম্মদ শিহাব।
সমাবেশে বক্তারা বলেন শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। কিন্তু আজ তারাই সবচেয়ে বেশি দুর্বিষহ জীবন দিনাতিপাত করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন জটের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে আমাদের দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গত প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের সম্মুখীন। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা-কার্যক্রমের বাইরে থাকায় নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন। করোনাকালে সারাদেশের মানুষের উল্লেখযোগ্য একটা অংশের রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাব আমাদের শিক্ষার্থীদের উপরেও দারুণভাবে পড়েছে। কারণ শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। একদিকে পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারছে না। সব মিলিয়ে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন এখন অনিশ্চয়তার দোলাচলে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষা-কার্যক্রম স্বাভাবিক করা ছাড়া কোনও গত্যন্তর নেই। বিজ্ঞপ্তি