মোশাররফ করিমের উত্থানের গল্প শোনালেন ফারুকী

সুপ্রভাত ডেস্ক

দেশের অভিনয় জগতের উজ্জ্বল তারকা মোশাররফ করিম। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানামাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সমৃদ্ধ করেছেন দেশের নাটক ও সিনেমা অঙ্গনকে। গতকাল নন্দিত এই অভিনেতার জন্মদিন।
মোশাররফ করিম ১৯৯৯ সালে টিভিতে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু প্রধান চরিত্রে এসে পরিচিতি পেতে অনেকগুলো বছর লেগে গেছে। যে নাটকের মাধ্যমে তিনি পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পান, সেটার নাম ‘ক্যারম’। নির্মাণ করেছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
নাটকটিতে মোশাররফ করিমকে নেওয়ার ক্ষেত্রে ফারুকীর কিছুটা ঝুঁকি ছিল। কারণ তখনও তিনি সেভাবে আলোয় আসতে পারেননি। তবে ফারুকীর বিশ্বাস ছিল মোশাররফের প্রতিভার ওপর। সেই বিশ্বাসই পরবর্তীতে বাস্তবে রূপ নেয়।
কীভাবে ফারুকীর ‘ক্যারম’ নাটকে যুক্ত হয়েছিলেন মোশাররফ করিম, সেই গল্পটা জানালেন নির্মাতা। আজ মোশাররফের জন্মদিনে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন দেড় যুগ অতীতে। জানালেন, কীভাবে তিনি ওই নাটক বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ‘ক্যারম’ নাটকে মোশাররফ করিমকে নেওয়ার পরের এক ঘটনা শেয়ার করে ফারুকী লিখেছেন, “তখন আমি স্ক্রিপ্ট লিখি সোফায় শুয়ে শুয়ে। লিখি না আসলে, দৃশ্য বলি! মাহমুদ আর সুজন সেটা কাগজে কপি করে। স্ক্রিপ্টের মাঝ পর্যায়ে মোশাররফ করিম আসেন আমাদের ক্যাম্পে। তাকে কাস্ট করার পর আমার ওপর চাপ বেড়ে যায়। একজন সাংবাদিক ফোন করে বললেন, ‘বস, আপনি শিওর উনি পারবেন? উনি কিন্তু প্রমিনেন্ট কেউ না।’ আমি বললাম, হি উইল বি প্রমিনেন্ট প্রেটি সুন।”
এরপর শুটিংয়ের স্মৃতি শেয়ার করে ফারুকী লিখেছেন, ‘শুটিংয়ে যাই কুমিল্লায়। প্রথম দিন উনি খুবই চাপে ছিলেন। আমি তখন কৌশলে কম চাপওয়ালা দৃশ্যগুলা করতে থাকি। আর ওনাকে আমার সিস্টেমের মধ্যে ধীরে ধীরে ঢোকাতে থাকি। এটা একটা প্রক্রিয়া, যেটা শুধু রিহার্সেল করে সম্ভব না। এটা হচ্ছে একটা হোলিস্টিক অ্যাপ্রোচ। যেখানে আমরা আলোচনা করি কবিতা নিয়ে, রাজনীতি নিয়ে, দেশ নিয়ে। এইসব করতে করতে কখন যে আলগোছে আমরা একজন আরেকজনের মাথার ভেতরে ঢুকে বসে যাই। এই ঢোকাটা হয়ে গেলে, বাকিটা তো ইশারায় হয়ে যায়।’ সবশেষে ফারুকী লিখলেন, “ক্যারম’ আর ‘৪২০’র পর ওই সাংবাদিক ভাইটাই আমাকে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘না বস, মোশাররফ ইজ আ জিনিয়াস’।
আজকে সবাই জানে, হি ইজ আ জিনিয়াস। দীর্ঘায়ু হন মোশাররফ ভাই। আরো ভালো ভালো কাজ করেন। আপনার অনেক কিছু দেওয়ার আছে।”