মোকাম্মেল অলি ছিলেন আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী

সংবাদ সম্মেলনে সুফি মিজান। বার্ষিক ওরশ ২৫ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির সভাপতি সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পপতি সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাবা ইছাপুরী কামেল নয়, মোকাম্মেল অলি ছিলেন; তার সোহবতে এসে অনেকেই অলি হয়েছেন। মহান এই জ্ঞানতাপস আধ্যাত্মিক সাধনার পাশাপাশি মসনবী শরীফের অনুবাদ করেছেন। ১০৪টি কিতাব রচনা করেছেন। ৩৬ বছর তিনি ঘর থেকে বের না হয়ে সাধনায় মগ্ন ছিলেন। হযরত ঈছাপুরী হুজুরের দোয়ার বরকতে আজ আমি শিল্পপতি হয়েছি; কিন্তু আমি একজন ১০০ টাকা বেতনের সাধারণ চাকুরে ছিলাম।’

হযরত মাওলানা শাহছুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর (রহ.) ৪০তম বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ ) সকালে প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সুফি মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘মাত্র ১০০ টাকার চাকরিজীবী থেকে দেশের একজন শিল্পপতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। এসব সম্ভব হয়েছে পীর হযরত  মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী দয়ায়। হুজুরের নানা আধ্যাত্মিক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী হলেন আধ্যাত্মিক জগতের উজ্জ¦ল নক্ষত্র, যুগশ্রেষ্ঠ মহান সাধক ও জ্ঞানতাপস। অকল্পনীয় ঈমানী ও রূহানী শক্তি, আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছার উপর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ ও আত্মত্যাগ ছিল তার চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।’

আল্লাহ ওলিদের সোহবতে গেলে জীবন পাল্টে যায় মন্তব্য করে তিনি আল্লাহর মকবুল অলিদের খেদমত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি আল্লার অলিদের সমালোচনা না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সকল অলিদের মানবো, সম্মান করবো এবং সুযোগ থাকলে খেদমত করবো। তিনি বলেন বাবা ইছাপুরীর জীবনাচার নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যুগশ্রেষ্ঠ অলি-এ কামেল হযরত মাওলানা শাহছুফী সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর (রহ.) ৪০তম বার্ষিক ওরশ শরীফ আগামী ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর আস্তানা-এ-ঈছাপুরী দরবার শরীফে যথাযোগ্য মর্যাদায় ওরশ সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নিয়েছে মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি। ওরশে আলোচনায় সভায় উপস্থিত থাকবেন বড় পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) বংশধর ও বাগদাদ শরীফ দরবারের সাজ্জাদানশীন মাওলানা শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি আল বাগদাদী। ওরশ উপলক্ষে ওইদিন সকাল থেকে নানা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-পবিত্র খতমে কোরান, খতমে খাজেগান ও আলোচনা সভা; মিলাদ মাহফিল ও জিকির আজকার। বাদ এশা আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ওরশের সমাপ্তি ঘটবে।

এ সময় আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তিনি বলেন, অলি আল্লাহদের খেদমত করতে শাহছুফী সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী সুফি সাহেবকে রেখে গেছেন। মহান এই অলি আল্লার ওরশে সবাইকে শরীক হয়ে আল্লাহর বিশেষ ফজল, করম, রহমত ও নেয়ামত হাছিল করার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।