মেয়ের সিনেমা দেখে অশ্রুসিক্ত বাবা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্সের লবি। সোনালি আলোয় ঈষৎ রুপালি সাজে হাজির হলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।

জানালেন, আজকের (১০ নভেম্বর) প্রদর্শনী আসলেই বিশেষ। কারণ, আজ দুজন বিশেষ মানুষ আছে তার সঙ্গে। একজন তার মেয়ে সায়রা, অপরজন বাবা প্রকৌশলী আমিনুল হক।

দূরে বসা সৌম্য চেহারার ভদ্রলোক হালকা হাসি টেনে মেয়ে বাঁধনকে আশ্বাস দিলেন। সাংবাদিকদের বললেন, সিনেমাটা দেখি, কেমন হলো!

এরপর ১০৭ মিনিটের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ জার্নি। প্রথমটা গুছিয়ে গুছিয়ে এগুলো, আর শেষের ২০ মিনিট যেন সংশপ্তক এক নারীর বারুদ বিস্ফোরণ।

বিস্ফোরণের পর যেমনটা পিনপতন নীরবতা নেমে আসে, ঠিক তেমনি প্রেক্ষাগৃহজুড়ে তা নেমে এলো। সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানালো রেহানা, ইমু, অ্যানিদের! ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’। অন্যদিকে রেহানা তখন কাঁদছেন! সামলাতে পারলেন না বাবা আমিনুল হক, মেয়ে সায়রা। অশ্রুসিক্ত তারাও।

বাবা আমিনুল হক প্রেক্ষাগৃহের সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে বললেন, ‘আমার মেয়ে যে এত ভালো অভিনয় করতে পারে আমি তা জানতাম না। সত্যি বলতে, আমাদের পরিবার কখনও চাইতো না সে মিডিয়ায় কাজ করুক। সে ডাক্তার হয়েছে, তা-ই থাকুক। কিন্তু আমি চাইতাম, বাঁধন যা ভালোভাবে করতে পারবে তা-ই করুক। আজ মনে হচ্ছে আমি সফল, মেয়ের কাজ দেখে।’

চলতি বছরের জুনে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রথমবার প্রিমিয়ার হয়েছিল আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। সেখানে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছিল তারা। সংবাদমাধ্যম ও অতিথিদের জন্য গতকাল (১০ নভেম্বর) হলো এর বিশেষ প্রদর্শনী। সেখানেই সাদ পুরো টিম নিয়ে ছবিটি দেখলেন।

সিনেমাটি আগামী ১২ নভেম্বর দেশের মানুষের জন্য প্রেক্ষাগৃহে আসছে। ১০টা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।