মুস্তাফিজকে আটকাতে কিউইদের ভিন্ন পরিকল্পনা

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক  »

সফরকারী নিউজিল্যান্ড  বেশ ভাল করেই জানে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন  পাঁচ ম্যাচ টি-২০ সিরিজে  সাফল্য পেতে তাদের সামনে বড় বাধা হতে পারেন  কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান।  তাই  এ পেসারের  বিপক্ষে ভিন্ন কিছু পরিকল্পনা  আটছে কিউইরা। ক্যারিয়ারে সেরা ফর্মে  আছেন মুস্তাফিজ। কিছু দিন আগে দ্বিাপক্ষিক টি-২০ সিরিজে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে বলতে গেলে  একাই  ধ্বসিয়ে  দিয়েছেন মুস্তাফিজ। অসিদের বিপক্ষে  পাঁচ ম্যাচে  ফিজ সাত উইকেট নিলেও  তার  ইকোনোমি রেট ছিল তিন এর নিচে। যা থেকে স্পষ্টতই  বুঝা যাচ্ছে  তাকে খেলতে কস্ট  হয়েছে  অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের।  স্বল্প রানকে পুঁজি করে  বাংলাদেশের  জয় পাওয়া দুই ম্যাচেই  মাত্র ৯ রানে  চার উইকেট করে নিয়েছেন  মুস্তাফিজ। এখানকার  উইকেটে মুস্তাফিজের শক্তি মত্তার  দিকটি ভাল  করেই জানেন নিউজিল্যান্ড দলের  ভারপ্রাপ্ত কোচ গ্লেন  পকনল। তাই  এ তারকা বেবালারকে চাপে রাখতে  ভিন্ন  পরিকল্পনার কথা জানালেন পকনল। পকনল বলেন,‘ তিনি(মুস্তাফিজ) অসাধারন বোলিং করেছেন। তার ডেলিভারিগুলো  এমন সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করতে দেখাটা সত্যিই বিশেষ কিছু। বাংলাদেশের অন্য  খেলোয়াড়দের ন্যায় মুস্তাফিজও একটা হুমকি  বলে আমি মনে  করি। তাকে আমাদেও ভালভাবে  খেয়াল রাখতে হবে এবং তাকে কিভাবে আটকানো যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তবে এটা নির্ভর করছে  ম্যাচে নিজেদের পরিকল্পনা আমরা কিভাবে বাস্তবায়ন  করতে পারি তার ওপড়।  তাকে চাপে রাখা এবং তার বিপক্ষে  ভিন্ন কিছু  আমাদের করতে হবে।’

বাংলাদেশের কঠিন কন্ডিশনে এবং তারুণ্য  নির্ভর কিউইদের হয়ে   নিজ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়  কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে  দায়িত্ব নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন  পকনল। পকনল বলেন,‘ ডি গ্র্যান্ডহোম খুবই াভিজ্ঞ একজন টি-২০ খেলোয়াড়।  ব্যাট-বল হাতে তাকে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি  দলের অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের  সাহায্যেও তার  অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।  ম্যাচে নির্দিস্ট  অবস্থায় আমরা তার  সাহায্য চাইবো।  একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমরা তার কাছ তেকে সেরাটা  আশা করবো।  সে মান সম্পন্ন একজন  টি-২০ খেলোয়াড়।’

নিউজিল্যান্ডে  ঘরোয়া দল ওয়েলিংটন  ফায়ারবার্ডসের হয়ে  অসাধারণ  সাফল্য পাওয়া  পকনল  বাংলাদেশে টি-২০ এবং পাকিস্তানে  ওয়ানডে  সিরিজে  দলের  প্রধান কোচ গ্যারি স্টিডের বদলী হিসেবে  নিয়োগ পান।  তিনি বলেন বাংলাদেশের কন্ডিশন অত্যন্ত কঠিন  মনে হলেও দলের সাফল্য পেতে  সাহায্য করতে চান তিনি।নিজের  নিয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের সঙ্গে দলীয় প্রথম বৈঠকের কথা আমার মনে  আছে। আমি  যখন ফোন পাই তখন আমি ওয়েলিংটনে  একটি ইনডোর সেন্টারে ছিলাম। আমি কিছুটা মর্মাহত আবার অভিভুতও হয়েছিলাম। এটা ছিল আমার চিন্তার বাইরে। বাড়ি গিয়ে বিষয়টি আমি স্ত্রীকে বলি।  আমি খুবই  শিহরিত হয়ে উঠলাম। কেননা  সব সময়ই  আমি ব্ল্যাক ক্যাপদে কোচ হতে চেয়েছি। কিন্তু এই মুহূর্তে সেটা  আমার মনে ছিলনা। এই ছেলেদেও সঙ্গে কাজ  করতে পেরে আমি গর্বিত।’