মামলা হামলা চালিয়ে জনগণের জাগরণ আর থামানো যাবে না

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে ডা. শাহাদাত

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সারাদেশে চলমান বিএনপির কর্মসূচিতে যে জনজোয়ার দেখা গেছে তা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে আওয়ামী লীগ নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা হামলা শুরু করেছে। বিএনপির গণজোয়ারকে নাশকতা প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে আওয়ামী লীগ। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মামলা হামলা চালিয়ে জনগণের জাগরণ আর থামানো যাবে না। যতই মামলা হোক, হামলা হোক, বাঁধা আসুক এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণের আন্দোলন চলবে। হামলা মামলা যত করা হবে, আন্দোলনের গতি ততই বাড়বে।

তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাজীর দেউড়ি মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন। র‌্যালিটি নগরীর কাজীর দেউড়ির মোড় থেকে শুরু হয়ে নুর আহমেদ সড়ক, লাভলেইন, জুবলি রোড হয়ে তিন পুলের মাথায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

দিবসটি উপলক্ষে ভোরে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দুপুরে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

এ সময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সফল নেতৃত্বে দলের ঐক্য অটুট ও সুদৃঢ় হয়েছে। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার হবে আন্দোলনের মাধ্যমে হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং বাক ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও জনগণের মানবিক মর্যাদা সুরক্ষা করা। আর বিএনপির পুনর্গঠন সম্পন্ন করে দলকে সর্বস্তরে শক্তিশালী করা। দেশের মানুষ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুুল হাশেম বক্কর বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর দাবিতে বিএনপির আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য হামলায় সারা দেশের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত ও গ্রেফতার হয়েছে। গণতন্ত্রকে ফিরে পাবার যে আন্দোলন সেই আন্দোলনকে কখনোই দমন করা যাবে না।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামর“ল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলাদলের ফাতেমা বাদশা, মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, মনিরুজ্জামান টিটু, মনিরুজ্জামান মুরাদ, এম এ মুছা বাবলু, মামনুর রশিদ শিপন, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলমসহ মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং থানা, ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ।