ভাড়া বৃদ্ধিতে মানুষের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক »
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর প্রায় ২৭ শতাংশ বাড়ানো হলো গণপরিবহনের ভাড়া। এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে সিএনজিচালিত গাড়ির ভাড়া বাড়ছে না।
দু’দিনের পরিবহন ধর্মঘটের ভোগান্তি শেষে নগরে বর্ধিত ভাড়ায় চলেছে গণপরিবহন। কিন্তু দূরপাল্লার পরিবহন ছাড়া হয়নি। যাত্রীদের দাবি, তেলের দাম বাড়ার পর সরকার নির্ধারিত কোন ভাড়ার চার্ট না থাকায় যে যেমন পেরেছে ভাড়া নিয়েছে। ডিজেলচালিত গাড়ির পাশাপাশি সব গাড়ি সুযোগ বুঝে মানুষের পকেট কেটেছে। সিএনজি ভাড়া গুনতে হয়েছে দেড়গুণেরও বেশি। শুধু তা নয়, রিকশা ভাড়াও বেড়ে গেছে। এদিকে, দুপুর গড়াতেই সরকারিভাবে বৃদ্ধি করা হলো গণপরিবহনের ভাড়া।
জিইসি মোড়ে বক্কর বিন আলী বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে না হতেই এভাবে দ্রব্যমূল্য, গাড়িভাড়া বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। সকালে বহদ্দারহাট থেকে জিইসি মোড় আসতে ৬ টাকার ভাড়া ১০ টাকা বাস ভাড়া দিতে হয়েছে।’
বর্ধিত ভাড়ার বিষয়ে মোবারক হোসেন বলেন, ‘গণপরিবহনে উঠে কোনটা ডিজেলের গাড়ি আর গ্যাসের তা কে তদারকি করবে? এমন হলে গাড়ির সামনে সাইনবোর্ড দিন। এটি ডিজেল গাড়ি অথবা এটি গ্যাসের গাড়ি।’
সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিএনজিচালিত কোন গাড়ির ভাড়া বাড়ছে না। চট্টগ্রাম নগরে বেশিরভাগ মিনিবাস সিএনজিচালিত। তবে সংখ্যায় কম হলেও সিএনজিচালিত বড় বাসও রয়েছে।
এদিকে ধর্মঘট অব্যাহত রেখে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা তেলের দাম কমানোর দাবি তুলেছেন। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনে সমস্যা সমাধান হলেও সুরাহা মিলেনি পণ্য পরিবহনে। পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিকেরা তাদের ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে। তারা বলছেন, গণপরিবহনে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু পণ্য পরিবহনে এ ধরনের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আমাদের দাবি তেলের দাম কমাতে হবেই।
বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান, ট্রাক, প্রাইম মুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব চৌধুরী জাফর আহমেদ সুপ্রভাতকে বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ার কারণে পণ্য পরিবহনে তেলের খরচ পোষানো যাবে না। গণ পরিবহনে তো সাধারণ মানুষের পকেট কাটছে। কিন্তু পণ্য পরিবহনে পকেট কাটার সুযোগ নেই। সরকারি সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে পণ্য পরিবহন সড়কে নামবে। আমাদের দাবি তেলের দাম কমাতে হবে, টোলের বর্ধিত মূল্য কমাতে হবে এবং বিভিন্ন এলাকায় পণ্যপরিবহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। অন্যথা আমাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।’