ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক চির অটুট থাকবে: মেয়র

সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্ক দিনদিন নবতর উচ্চতায় উপনীত হচ্ছে। ভারত শুধু বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী নয়, বিশ্বস্ত বন্ধুও। দু’দেশের সুসম্পর্কের বন্ধন হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত যা প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চিরকাল অটুট থাকবে।
গতকাল সোমবার টাইগারপাস নগর ভবনে চট্টগ্রামের নবনিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, আবহমানকাল থেকে চট্টগ্রাম আন্দোলন-সংগ্রাম, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী স্থান। এখানে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতিসহ যাবতীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। মেয়র ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্রপথিক মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ বিপ্লবীদের স্মৃতি ও ইউরোপিয়ান ক্লাবকে মিউজিয়াম করে বাঙালির গৌরব অধ্যায়গুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগের কথা জানান।
মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনৈতিক গতিশীলতার কারণে শুধু শহরেই নয়, উন্নয়ন হয়েছে গ্রামীণ জনপদেও। তিনি চসিকের বিদ্যুতায়ন প্রকল্পে ভারতীয় সরকারের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ দেন এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি নবনিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রামের সাথে ভারতের বাণিজ্য অর্থনীতি আন্তঃসংযোগে সর্বাত্মক প্রয়াসের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ভারতের নবনিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন বিশেষ করে কোভিড ভ্যাক্সিনেশনসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে আছে। তিনি বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রামের সাথে সংযোগ বৃদ্ধি দুই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি চট্টগ্রামের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছেন বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি