বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে চবি উপাচার্য : প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় প্রয়োজন বনভূমি সংরক্ষণ

‘বৃক্ষরাজি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা তথা প্রাণীকূলের বেঁচে থাকার অন্যতম উৎস হিসেবে কাজ করে। বৃক্ষরাজি একদিকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে অন্যদিকে মানবজাতিসহ প্রাণিকূল বেঁচে থাকার প্রধান উৎস অক্সিজেন ত্যাগ করে। তাই পরিবেশের পরম বন্ধু বৃক্ষ রোপণ করার পাশাপাশি এর প্রতিনিয়ত পরিচর্যা করা অত্যাবশ্যক।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ইন্সটিটিউশন অব ফরেস্টার্স বাংলাদেশ (আইএফবি)’র উদ্যোগে এবং চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় চবি মেডিক্যাল সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এসব কথা বলেন।
এসময় চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান, চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. জরিন আখতার, উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম, প্রফেসর ড. মো. আল আমীন, প্রফেসর ড. সৈয়দ মুহাম্মদ শামসুল হুদা, চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষকবৃন্দ এবং চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বখতেয়ার নূর সিদ্দিকী, বণ্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ, সহকারী বন সংরক্ষক এ জেড এম হাসানুর রহমান ও বন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য তার বক্তব্যে করোনাকালীন এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির আয়োজন করায় আয়োজকবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জীব বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য টিকিয়ে রাখার অন্যতম নিয়ামক হল বনভূমি সংরক্ষণ। বিশে^র জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এবং মানুষের নানাবিধ চাহিদা পূরণে পৃথিবীতে বনভূমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এছাড়াও কিছু অসাধু ব্যক্তিবর্গ তাদের নিজ স্বার্থ চরিতার্থে বনভূমি উজাড় করছে। ফলে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য প্রতিনিয়তই হুমকির মুখে পড়ছে। এ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে হলে বনায়নের কোন বিকল্প নেই।
উপাচার্য একটি সোনালু গাছের চারা রোপণ করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। বিজ্ঞপ্তি