বিশ্বকাপে পাক-ভারত ম্যাচের ভেন্যু আহমেদাবাদ!

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

আগামী অক্টোবরে ভারতের মাটিতে শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কিন্তু অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর আগপর্যন্ত চলমান থাকবে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের মাঝে শর্ত আরোপ ও নানা আলোচনা-সমালোচনা। ক’দিন পরপরই দেশ দুটির ক্রিকেট বোর্ড এশিয়া কাপসহ আসন্ন দুই টুর্নামেন্ট নিয়ে মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্য করে আসছে। আসন্ন সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়া কাপে অংশগ্রহণে অসম্মতি জানিয়েছিল ভারত। কূটনৈতিক বৈরিতার কারণে তারা পাকিস্তানে যেতে রাজি নয়। তার পরিবর্তে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের হাইব্রিড মডেল দাঁড় করায় ভারত। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় পাকিস্তানও। তারাও জানিয়ে দেয়, ভারত না আসলে তারাও সে দেশে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে না। তারাও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলতে চায়। এর মাঝেই ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, পাকিস্তান ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে নতুন শর্ত দিয়েছে। নিরপেক্ষ ভেন্যু না হলেও তারা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ভেন্যু। বাবর আজমদের প্রস্তাবিত দুটি ভেন্যু হচ্ছে কলকাতা ও চেন্নাই। এর আগে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান কলকাতায় মুখোমুখি হয়। এছাড়াও কলকাতায় তারা অনেক টুর্নামেন্ট খেলেছে। সেজন্য কলকাতায় খেলতে চায় তারা। কলকাতা এবং চেন্নাই এই দুই শহরের নিরাপত্তা খুব ভালো। তাই শহর দুটিই পাকিস্তানের প্রথম পছন্দ। তবে আইসিসি চায় দুই দেশের খেলায় মানুষের সর্বাধিক আগ্রহ থাকায় তাদের ম্যাচ আহমেদাবাদে আয়োজন করতে। লাখের বেশি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই মাঠে সংস্থাটি এই ম্যাচের অধিক মুনাফা তুলতে চায়। ইতোমধ্যে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামকে তারা ফাইনালের জন্যও বেছে নিয়েছে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর, অক্টোবর-নভেম্বরে হতে চলা ওডিআই বিশ্বকাপে হাই-প্রোফাইল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব সম্ভবত পেতে চলেছে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামই। জানা গেছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিসিআই) আহমেদাবাদে ম্যাচটি আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। চলমান আইপিএলের পরই বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা হতে পারে। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলতে পারে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বকাপ চলতে পারে শোনা যাচ্ছে। বিশ্বকাপের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে ভারতের ১২টি শহরে। টানা ৪৬ দিন ধরে চলবে এ প্রতিযোগিতা। ১০টি দলের প্রতিযোগিতায় নকআউট পর্বের ৩টি ম্যাচ মিলিয়ে মোট ৪৮টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো হবে ভারতের বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধর্মশালা, গোওহাটি, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, লখনউ, ইন্দোর, রাজকোট এবং মুম্বাইয়ে।