বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ পেল ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়

ফলোআপ: করোনা পরীক্ষায় দুই ল্যাবে দুই চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনা পরীক্ষা পদ্ধতিতে কিছু সুপারিশ পেল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা পরীক্ষায় নগরীর দুই ল্যাবে দুই চিত্র দেখা দেয়ায়  তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছিল পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনার জন্য এবং কোনো ভুল  হচ্ছে কিনা দেখার জন্য। আর সেই আলোকে কমিটি ভেটেরিনারির ল্যাব পরিদর্শন করে এবং কিছু পরামর্শ দিয়ে যায়।

কি পরামর্শ দেয়া হলো জানতে চাইলে তিন সদস্যের কমিটির প্রধান ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ বলেন, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনেক মেধাবী এবং তারা খুব পারদর্শী। খুবই আন্তরিতার সহিত তারা কাজ করছে। কিন’ এসব শিক্ষার্থী প্রফেশনাল নয়, তারা আগে কখনো এধরনের কাজ করেনি। তাই নমুনা থেকে পরীক্ষার ফলাফল তৈরি পর্যন্ত ধাপগুলো সাবধানতার সাথে অতিক্রম করতে বলা হয়েছে। একইসাথে যাতে একটি নমুনার সাথে আরেকটি নমুনার মিশ্রণ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেছি।

এবিষয়ে কথা হয় কমিটির অপর সদস্য এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের  সহকারী অধ্যাপক ডা.মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন,‘ ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কেবিনেটে কাজ করে। আমরা বলেছি তাদের একটু স্পেস বাড়াতে। তবে এখনই তো স্পেস বাড়ানো সম্ভব নয়, তারপরও কিভাবে কাজগুলো করতে সহজ হবে সেই পদ্ধতি  দেখিয়ে দেয়া হয়েছে।’

তবে পরিদর্শন টিম পরিদর্শন করলেও কোনো নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা পরীক্ষা বিষয়ক প্রধান ও প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমরা এখন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছি। তাই এখন আর কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটির কোনো লিখিত পরামর্শ আমরা এখনো হাতে পাইনি।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পজিটিভ রিপোর্টের সংখ্যার হার কিছুটা কমে এসেছে। গত ১৪ মে তারিখে ১০০টি নমুনার মধ্যে ১৩টি পজিটিভ হয়েছে, ১৩ মে ৭১টি নমুনার মধ্যে ১৭টি পজিটিভ, ১২মে ৪৬টি নমুনার মধ্যে ২০টি পজিটিভ, ১১মে ৭০টি নমুনার মধ্যে ১৮টি পজিটিভ, ১০মে ৯৩টি নমুনার মধ্যে ২৬টি পজিটিভ, ৯মে ৯৭টি নমুনার মধ্যে ৫৩টি পজিটিভ , ৮মে ২৫টি নমুনার মধ্যে ৮টি পজিটিভ এবং ৭মে ৬১টি নমুনার মধ্যে ৪০টি পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। আর পজিটিভ নমুনা পাওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি পাওয়া যাওয়ায় গত ১০মে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার তিন সদস্যের একটি কমিটি করে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা বলে। অপরদিকে বিআইটিআইডি ল্যাবে করোনা পজিটিভের হার তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে।