বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে আটক ৭

সুপ্রভাত  ডেস্ক »

চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের মিছিলে পুলিশের বাধা ও পরে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার ঘটনাস্থল থেকে সাত জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে যোগ দিতে কাজীর দেউড়ি মোড়ে জড়ো হচ্ছিল বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর সাংবাদিকদের বলেন, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা চালিয়ে অন্তত ১৩ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে। তবে পুলিশের বাধার পরও নাসিমন ভবনের সামনের মাঠে সমাবেশ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা কার্যালয় ছেড়ে চলে যায়। বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) মুজাহিদুল ইসলাম বিডিনিউজকে বলেন, নাশকতার বিভিন্ন মামলার আসামিরাও মিছিলে ছিল। পালিয়ে থাকা এসব আসামিদের ধরার চেষ্টা করেছে পুলিশ। সেখান থেকে সাত জনকে আটক করা হয়েছে।’তবে পুলিশ কিংবা বিএনপি নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিকভাবে আটক নেতাকর্মীদের নাম জানাতে পারেননি।

নগর বিএনপির সভা

প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে রুচিহীন মিথ্যাচার করে আওয়ামী লীগ প্রকারন্তরে মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করছেন বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বিএনপির ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এ সময় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জিয়াউর রহমান একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এদেশের সমৃদ্ধির প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার সততা ও দেশপ্রেম ছিল সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে।

মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও  সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরী আরা সাফা, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস.কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দীন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য হারুন জামান, মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু,  এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, আর.ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মনজুর রহমান চৌধুরী, মো. সালাউদ্দীন, মো. সেকান্দর, মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, শিহাব উদ্দীন মুবিন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. এস এস সারোয়ার আলম, হাজী নুরুল আকতার, থানার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মো. সাহাবুদ্দীন, জসিম উদ্দীন জিয়া, শরীফ উদ্দীন খান, মনির আহমেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর আলম, রোকন উদ্দীন মাহমুদ, হাবিবুর রহমান, নগর বিএনপির নেতা একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, মো. ইদ্রিস আলী।