‘বরেণ্য ব্যক্তিদের হারিয়ে দেশ মনীষীশূন্য হয়েছে’

করোনাকালে প্রয়াত বিশিষ্টজনদের স্মরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক »

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এ সময়ে প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, আধুনিক চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর, গবেষক ও সাহিত্যসাধক ড. ভূঁইয়া ইকবাল, সংস্কৃতিসংগঠক ড. সামসুল হোসেইনকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছে নাগরিক স্মরণ সভা কমিটি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. অনুপম সেন। সভায় অধ্যাপক আবুল মনসুর, ড. মাহবুবুল হক, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন ও অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা বক্তব্য রাখেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টিআইসি মিলনায়তনে তাঁদের স্মরণ করা হয়। সভার প্রারম্ভে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালনের মধ্যদিয়ে বিশিষ্টজনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

স্বাগত বক্তব্যে নাগরিক স্মরণসভা কমিটি’র সমন্বয়কারী কামরুল হাসান বাদল বলেন, ১ বছর আগে থেকে পরিকল্পনা করছিলাম শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। কিন্তু নানা সমস্যায় হয়ে ওঠেনি। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, আধুনিক চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর, গবেষক ও সাহিত্যসাধক ড. ভূঁইয়া ইকবাল তাঁরা তিনজন চট্টগ্রামের না হলেও কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন এখানে কাটিয়েছেন। চট্টগ্রামের মানুষ তাঁদের কখনো ভুলবে না।সেই সঙ্গে চট্টল গবেষক ও সংস্কৃতি সংগঠক ড. শামসুল হোসেইন এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।

অধ্যাপক আবুল মনসুর চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর সম্পর্কে বলেন, চবি চারুকলা বিভাগে দীর্ঘ আড়াই দশক সহকর্মী হিসেবে পেয়েছি। তিনি সবসময় বিভিন্ন আলাপচারিতায় শিল্পভাবনা ও জীবনদর্শন সম্পর্কে বলতেন। মৃত্যুর ছ মাস আগে শেষ দেখায়ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ছবি এঁকেছেন। নানা গল্প শুনিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. অনুপম সেন বলেন, করোনায় বহু বিশিষ্টজন হারিয়েছি। এখন মনে হয়, সেসব বরেণ্য ব্যক্তিদের হারিয়ে বাংলাদেশ মনীষীশূন্য হয়েছে। কিন্তু নানা সমস্যায় আমরা সেসব ব্যক্তিদের স্মরণ করতে পারিনি। এ স্মরণসভাটি বড় করে ঢাকায় হওয়া উচিত ছিলো।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, গবেষক ও সাহিত্যসাধক ড. ভূঁইয়া ইকবাল, আধুনিক চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর, সংস্কৃতিসংগঠক ড. সামসুল হোসেইন প্রত্যেকে দেশ গঠনে বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের অবদান বলে শেষ করা যাবে না।
প্রয়াতদের পরিবারের সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।