বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অপসারণে হুমকি সহ্য করা হবে না

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা

ধর্ম ব্যবসায়ী, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কর্তৃক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণের হুমকির প্রতিবাদে এবং হুমকিদাতাদের গ্রেফতার দাবিতে অপরাজেয় বাংলা, চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে গতকাল বিকালে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কোন ধরনের হুমকি সহ্য করা হবে না। জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৌলবাদ, ফ্যাসিবাদ ও ধর্মান্ধ শক্তিকে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করা হবে। এদের কোন জায়গা বাংলাদেশে হবে না। তিনি মৌলবাদীদের কোন প্রকার ছাড় না দেয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি অহ্বান জানান।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন অপরাজেয় বাংলা, চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ন আহ্বায়ক, নগর যুবলীগের সদস্য নুরুল আনোয়ার। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী বিরূপ মন্তব্য করছেন। তারা জানে না, ভাস্কর্য কী, আর মূর্তি কী জিনিস। তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জাতির পিতার এসব ভাস্কর্য দেখে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে জানবে। কীভাবে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে না জানলে তা জানা যাবে না। এ ধর্ম ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে দিতে চায় না। সেজন্য তারা ভাস্কর্যকে মূর্তি হিসেবে উপস্থাপন করে দেশে একটা অরাজকতা তৈরি করতে চায়। তারা জানে না তাদের এ ব্যবসা বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে গেছে।
বক্তারা বলেন, হিংসা বিদ্বেষ ও সন্ত্রাসের জায়গা ইসলামে নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। অতীতেও ধর্মীয় শিক্ষাটাকে বিকৃত করে, ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে বিপথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদীদের আস্ফালন দিন দিন বেড়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে তারা যে হুমকি দিয়েছে, এটা ভয়ঙ্কর। এটার প্রতিবাদ না করলে অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব একদিন বিপন্ন হবে। মৌলবাদীরা লালনের ভাস্কর্য ভেঙেছে। তাদের চাপে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানো হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মূর্তি ভাঙছে তারা। কাজেই মৌলবাদীদের আর কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জামশেদুল আলম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ হাসান, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, অপরাজেয় বাংলা কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব এইচ রহমান মিলু, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমান্ত তালুকদার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, টিভি জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী রুনা, সুচিন্তা চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক জিনাত সোহানা চৌধুরী, মহানগর যুবলীগের সদস্য শাখাওয়াত হোসেন স্বপন, হেলাল উদ্দিন, হাবিবুল্লাহ নাহিদ, আসহাব চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী নোবেল, কাজী রাজেশ ইমরান, আবুল হাসনাত বেলাল, এমদাদুল হক রায়হান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমেন বড়ুয়া, উপ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম, সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী ফারজানা আক্তার মিশু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি