ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ

সুপ্রভাত ডেস্ক »

রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ছয়টি স্থানে এই পরিষেবা চালু করেছে। জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় টেলিটকের গ্রাহকরা ফাইভজি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পাবেন।

ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। হুয়াওয়ে বাংলাদেশ লিমিটেডের সহযোগিতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এই সেবা চালু করেছে।

আগামী বছরের মার্চে স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ নিলামের পরে বেসরকারি অপারেটররা আগামী বছর ফাইভ–জি চালু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশ্বের কিছু দেশে ফাইভ-জি চালু আছে যাতে বর্তমানের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি গতির ইন্টারনেট পাওয়া যায়।

দেশে ফাইভ-জি’র কথা বলা হলেও টেলিটকসহ দেশের অন্য সব টেলিকম কোম্পানিগুলো এখনো ফোর-জি সেবাই সঠিকভাবে দিতে পারছে না।

বাংলাদেশে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইলে ফোর-জি ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক চালু করে তিনটি মোবাইল ফোন অপারেটর। শুরু থেকেই এই সেবা নিয়ে গ্রাহকদের রয়েছে অনেক অভিযোগ। সেই অভিযোগ এখনো রয়েছে।

প্রায়শই দেখা যায় এক এলাকায় একটি কোম্পানির নেটওয়ার্ক ভাল কাজ করে, সেই সিম নিয়ে অন্য জেলায় গেলে ভালো কাজ করে না।

অনলাইনে ইন্টারনেটের গতি দেখা যায় এমন একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট জানুয়ারি মাসে স্পিডটেস্টের একটি গ্লোবাল ইনডেক্স প্রকাশ করে।

তাতে বলা হয়েছে, মোবাইল ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে আফ্রিকার দরিদ্র দেশ বলে পরিচিত ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার চাইতেও খারাপ অবস্থা বাংলাদেশের।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চাইতে কম গতির ইন্টারনেট রয়েছে শুধু আফগানিস্তানে।

এপ্রিল মাসে চারটি বিভাগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের করা এক জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।

তাতে বলা হয়েছে, দেশের সকল মোবাইল ফোন অপারেটরের ফোর-জি ইন্টারনেট সেবায় নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে গতি কম।

অপারেটররা বলছেন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় হল স্পেকট্রাম বা বেতার তরঙ্গ এবং অপটিক্যাল ফাইবার।

যথেষ্ট পরিমাণ তরঙ্গ অপারেটরদের হাতে নেই। আবার অপটিক্যাল ফাইবারের অপ্রতুলতার কারণেও ফোর-জি সেবায় কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিত করা কঠিন হচ্ছে।

ভালো মানের সেবা পেতে হলে পর্যাপ্ত তরঙ্গের যেমন বিকল্প নেই তেমনি টাওয়ারগুলো ফাইবার কেবলের মাধ্যমে কানেক্ট করারও কোনও বিকল্প নেই। এই দুই ক্ষেত্রেই দেশের মোবাইল অপারেটররা পিছিয়ে আছে।