পোস্টের বাধায় উরুগুয়ের হতাশা

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচজুড়ে আক্রমণে আধিপত্য করল উরুগুয়ে। সুযোগও বেশি পেল তারা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারল না। দুইবার বাধ সাধল পোস্ট। ড্রয়ের হতাশায় বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হলো দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

শুরুতে বল দখলে দক্ষিণ কোরিয়া আর আক্রমণে উরুগুয়ে এগিয়ে ছিল। যদিও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে ভুগছিল দুই দলই। ১৯তম মিনিটে হোসে মারিয়া হিমেনেসের লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন উরুগুয়ের ফেদে ভালভেরদে, তবে উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

তিন মিনিট পর বড় সুযোগ আসে দারউইন নুনেসের সামনে। আবারও লম্বা করে বল বাড়ান হিমেনেস। লুইস সুয়ারেস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্রস দেন পেনাল্টি স্পটের কাছে। লাফিয়ে ভলি করার চেষ্টায় বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি লিভারপুল ফরোয়ার্ড নুনেস।

২৭তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আরেকটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে উরুগুয়ে। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে এগিয়ে ডি-বক্সের সামনে গিয়ে মাথিয়াস অলিভেরা পাস দেন ভেতরে নুনেসের উদ্দেশ্যে। তবে এগিয়ে এসে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক কিম সিউং-জু।

৩৪তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় দক্ষিণ কোরিয়া। সতীর্থের পাসে আট গজ দূর থেকে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন অরক্ষিত ফরোয়ার্ড হওয়াং উই-জো।

বিরতির আগে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি উরুগুয়ে। কর্নারে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার দিয়েগো গদিনের হেড পোস্টে লাগে।

দ্বিতীয়ার্ধেও যথারীতি আক্রমণে ছড়ি ঘোরায় উরুগুয়ে। ৬৩তম মিনিটে গদিনের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে বাঁ দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের একজনের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন নুনেস। বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে তিনি পাস দেন সুয়ারেসের উদ্দেশ্যে, আগেই বিদমুদক্ত করেন গোলরক্ষক।
এরপরই দেশের রেকর্ড গোলদাতা সুয়ারেসকে তুলে আরেক অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার এদিনসন কাভানিকে নামান উরুগুয়ের কোচ।

৮১তম মিনিটে বক্সের বাইরে জায়গা বানিয়ে নুনেসের শটে হেডের চেষ্টায় মাথা ছোঁয়াতে পারেননি কাভানি, বল যায় বাইরে দিয়ে।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল উরুগুয়ে। ২৫ গজ দূর থেকে রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার ভালভেরদের ডান পায়ের জোরাল শট পোস্টের ওপরের দিকে লাগে।

পুরো ম্যাচে গোলের জন্য উরুগুয়ে শট নেয় মোট ১০টি, যদিও লক্ষ্যে ছিল কেবল একটি। দক্ষিণ কোরিয়ার সাত শটের একটিও লক্ষ্যে ছিল না।